ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ শুক্রবার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মকবুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারার এই মামলায় আদালতে জামিন চান।পুলিশ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া জাইন চৈতীর মৃত্যুর পর রাতে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘অবহেলা’ ও ‘ভুল চিকিৎসার’ অভিযোগে একটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক কাশেম ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, কাশেম ইউসুফ, ডা. মর্তুজা, ডা. এ এস এম মাতলুবুর রহমান, ডা. মাসুমা পারভীন, ডা. জাহানারা বেগম মোনা, ডা. মাকসুদ পারভীন ও ডা. তপন কুমার বৈরাগী।
ধানমণ্ডি থানায় এই মামলা হওয়ার আগেই পরিচালক কাশেমকে থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমণ্ডি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহিল কাফী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের পরিচালকসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
চৈতীর মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।তাদের অভিযোগ- বুধবার ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হলেও তাকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চৈতীর মৃত্যুর পর সতীর্থরা গ্রিন রোডের বেসরকারি হাসপাতালটিতে ভাংচুর চালায়।