রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিলে সোমবারই যেন নতুন ইসি গঠনের প্রজ্ঞাপন করা যায়, সেই প্রস্তুতিও রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।
সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সোমবার রাত ৯টায় সাংবাদিকদের সামনে এসে সার্চ কমিটির দেওয়া নামগুলো জানাবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে আসছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সার্চ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন শফিউল আলমও।
তিনি ৭টার পরে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসার সময় অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, “রাত ৯টায় সচিবালয়ে ব্রিফিং করা হবে। তখনই সুপারিশকৃত সবার নাম জানা যাবে।”
বিকাল ৫টায় বন্ধ হয়ে গেলেও সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনের চারতলার অফিস নতুন করে খুলছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাত পৌনে ৮টায় চতুর্থ তলায় নিজ কক্ষে অল্প কিছুক্ষণের বসেন সচিব শফিউল আলম। একই ভবনের নিচ তলায় অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
ইসি নিয়োগে যে ১০ জনের নাম সার্চ কমিটি দিয়েছে, তাদের মধ্যে সিইসি হিসেবে সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের নাম চাউর হয়েছে।
ওই পদের জন্য ১৯৭৩ ব্যাচের সরকারি কর্মকর্তা কে এম নুরুল হুদা ও ১৯৭৭ ব্যাচের আলী ইমাম মজুমদারের নাম সুপারিশের খবর সংবাদ মাধ্যমে আসার পর যোগাযোগ করা হলে তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ফোন পাওয়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে স্বীকারও করেছেন।
দীর্ঘদিন ওএসডি থাকার পর ২০০৬ সালে সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়া কে এম নুরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার কাছে কোনো পদের বিষয় উল্লেখ করেনি। সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেলে যোগ দেব, আমি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তো আর যাব না।”
নুরুল হুদার বাড়ি পটুয়াখালীতে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয় যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পাওয়া আলী ইমাম সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রায় পুরোটা সময়ে ওই দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সংস্থাপন সচিবের দায়িত্ব পালন করা আলী ইমাম দশম সংসদ নির্বাচনের এক মাস আগে ২০০৮ সালের নভেম্বরে অবসরে যান।
গতবারও সার্চ কমিটির সুপারিশে ছিল আলী ইমাম মজুমদারের নাম। তবে দুজনের মধ্য থেকে সাবেক সচিব কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।
এবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশ করা নাম থেকে একজনকে সিইসি নিয়োগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে নতুন ইসি গঠনের প্রজ্ঞাপন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেই হবে।
তোড়জোড় দেখে রাত ৮টার সময় অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদ-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রজ্ঞাপন হতে পারে।”
প্রজ্ঞাপন কি আজই হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইনশাল্লাহ। তবে মহামান্য-এর বিষয় রয়েছে। ক্ষণটা কী করে বলব?”