পাঠ্যবইয়ে ভুলের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার উপাদানও খুঁজে পেয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
Published : 12 Jan 2017, 06:09 PM
এর ফলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যলঘুদের জীবন ভবিষ্যতে আরও বিপন্ন হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
নতুন বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণের পর ভুল নিয়ে সমালোচনার শুরু হয়। এরপর লিঙ্গ বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশের অভিযোগও ওঠে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি ২০১৬’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত পাঠ্যবই নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় ২০১২ সালে প্রণীত নীতির আলোকে ২০১৩ থেকে যেমন পাঠ্যপুস্তক ছিল, ২০১৭ তে এসে পশ্চাৎপদ হয়ে গেছে।
“পাঠ্যপুস্তকের এই অবস্থা সাম্প্রদায়িকতাকে আরও উসকানি দিচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে উৎসাহিত হচ্ছে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ আর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। এ সবকিছুই প্রভাব ফেলবে সংখ্যালঘুদের উপর এবং সামনের বছরগুলো আরও বিপন্ন হয়ে উঠবে।”
‘সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক’ পাঠ্যক্রম তৈরিতে যারা দায়ী তাদের অতিসত্বর চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয় অনুষ্ঠানে।
হলি আর্টিজানে হামলার মতো ঘটনা না ঘটলে জঙ্গি দমনে প্রশাসন মাঠে নামত কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত।
“হলি আর্টিজানে হত্যার ঘটনার লাগাম টানতে সরকার ও প্রশাসনের অন্তহীন তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও সংখ্যালঘুদের হত্যায় অনুরূপ তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।”