প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন যুবককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 29 Dec 2016, 06:26 PM
নতুন করে রিমান্ড আবেদন না থাকায় মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবীব বৃহস্পতিবার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিদের জামিন চাওয়া হলে তার শুনানি নিয়ে বিচারক রোববার আবার শুনানির দিন রাখেন বলে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী শাহীন বেপারী জানান।
এই তিন যুবক হলেন- মুঈদ আহমেদ (২০), শেখ শাহরিয়ার করিম (২১) ও তাহসিন রেজা (২১)। এদের মধ্যে শাহরিয়ারের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। তার বাবা শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ঢাকা বারের একজন আইনজীবী। মুঈদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে, তাহসিনের বাড়ি রংপুরের আলমনগরে।
আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিকালে বিচারকের খাসকামরায় জামিন আবেদনের শুনানির সময় রেজাউল ইসলাম এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি সমর্থক আইনজীবী মো. ইকবাল হোসেনসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী ছিলেন।
আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী বলেন, “মামলাটি জামিনযোগ্য ধারায় করা হয়েছে। কোনো নাশকতার উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর চলে যাওয়ার পর তারা ওই রাস্তায় প্রাইভেট কার নিয়ে ঢুকে পড়ে।
“আসামিরা ভালো ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। তাছাড়া শাহরিয়ার এ আদালতের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সন্তান। তিনি নিজে অথবা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জামিনদার থাকবেন।”
এ সময় বিচারক বলেন, “আমরা আইনজীবীদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন হলে আসামিদের জামিনের বিষয় বিবেচনার চেষ্টা করি। কিন্তু বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর, তাই টেকনিক্যাল কারণে আমি তাদের জামিন দিতে পারছি না।”
আগামী রোববার আবার জামিন শুনানির দিন রাখেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন গত মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসামিদের হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে অপর একজন বিচারক একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
মামলায় বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৮ নম্বর সড়ক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় তিন যুবক তাদের গাড়ি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির কাছাকাছি চলে আসেন।
এরপর তাদের ঘটনাস্থল থেকে ধরে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে মামলা করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, সরকারি কাজে বাধা ও ক্ষতিসাধনের হুমকির অভিযোগ আনা হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের কারাগারে পাঠানোর আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করেন। তাদের সঠিক নাম ঠিকানা এখনও যাচাই হয়নি। জামিন পেলে পালিয়ে যাবেন।”