বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল ডাউনলিংক করে বাংলাদেশে সম্প্রচারকারী ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড ও ডিজি যাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে।
এতে বলা হয়, তাদের অনুমতির ক্ষেত্রে ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬’ এর ধারাগুলো মেনে চলার শর্ত দেওয়া হয়।
ওই আইনে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনো টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ এবং এর জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডসহ অন্যান্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের ডিজি যাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেড এবং বেঙ্গল গ্রুপের কর্ণধার আবুল খায়ের লিটুর ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডকে তাদের ডাউনলিংক করা কোনো বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার হয়েছে কি না তা জানাতে বলেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি ওই শর্ত ভঙ্গের জন্য চ্যানেলটির বাংলাদেশে সম্প্রচারের অনুমতি কেন বাতিল করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি গড়ে ওঠা টেলিভিশন চ্যানেলে বিনিয়োগকারী, টিভি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের জোট ‘মিডিয়া ইউনিটির’ একটি প্রতিনিধি দল গত রোববার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়টির প্রতিকার চান।
ওই বৈঠকের পর সংগঠনের আহ্বায়ক একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু বলেন, “ভারতীয় কিছু চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক হচ্ছে, যেগুলো ভারতেও প্রদর্শিত হয় না। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন খাতের টাকা গ্রাস করাই এর উদ্দেশ্য।”
‘মিডিয়া ইউনিটির’ লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “দেশের বিজ্ঞাপনের বাজার বিদেশি চ্যানেলের হাতে চলে গেছে। গত কয়েক বছরে এসব চ্যানেল বাংলাদেশের কিছু কোম্পানির কাছে পাওনা বাবদ বকেয়া দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সেই টাকা নিয়ে যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিও বের করেছে।”
সেই অনুমতিপত্রের মাধ্যমে গত এক বছরে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলেও অভিযোগ এ সংগঠনের।