বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন: ‘যাচাই করে’ ব‌্যবস্থা

ভারতীয় চ্যানেলের অনুমোদনহীন ডাউনলিংক এবং বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে যাচাই করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2016, 12:45 PM
Updated : 20 Nov 2016, 07:20 PM

তিনি বলেছেন, আইনে যা আছে, সেভাবেই ব‌্যবস্থা নেবে তার মন্ত্রণালয়। 

টেলিভিশন চ্যানেলে বিনিয়োগকারী, টিভি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের জোট ‘মিডিয়া ইউনিটির’ একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার বৈঠক করার পর একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন এবং ভারতীয় চ্যানেলের নামে অনুমোদনহীন ডাউনলিংক বন্ধের দাবি জানান ‘মিডিয়া ইউনিটির’ প্রতিনিধিরা।

মিডিয়া ইউনিটির উপদেষ্টা বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম‌্যান সালমান এফ রহমান, সদস্য সচিব আরিফ হাসানসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু বলেন, “ভারতীয় কিছু চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক হচ্ছে, যেগুলো ভারতেও প্রদর্শিত হয় না। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন খাতের টাকা গ্রাস করাই এর উদ্দেশ্য।”

‘মিডিয়া ইউনিটির’ লিখিত বক্তব‌্যে বলা হয়, “দেশের বিজ্ঞাপনের বাজার বিদেশি চ্যানেলের হাতে চলে গেছে। গত কয়েক বছরে এসব চ্যানেল বাংলাদেশের কিছু কোম্পানির কাছে পাওনা বাবদ বকেয়া দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সেই টাকা নিয়ে যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিও বের করেছে।”

সেই অনুমতিপত্রের মাধ্যমে গত এক বছরে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলেও অভিযোগ এ সংগঠনের।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, “এ ব্যাপারে কোথায় কোথায় আইনের বরখেলাপ হচ্ছে, সেটা আমরা পরীক্ষা করব। পরীক্ষা করে আমরা প্রয়োজনীয় বাস্তবমূলক সিদ্ধান্ত নেব।”

আইনে কোনো ঘাটতি থাকলে সংশোধন করারও চেষ্টা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “অনুমোদনহীন চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার করা নিষিদ্ধ। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি এবং প্রয়োজনীয় সাজা হবে।”

কোন কোন টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের কোন কোন জায়গাগুলোয় আইন ভঙ্গ করছে- তা জানাতে ‘মিডিয়া ইউনিটির’ প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “অনুমোদনপ্রাপ্ত চ্যানেলে কিছু প্রোগ্রামে এদিক-ওদিক হচ্ছে- এ বিষয়টা আজকে আমাদের নজরে এসেছে।”

বিজ্ঞাপনের জন্য পাঠানো অর্থ কীভাবে, কোন দেশে পাঠানো হচ্ছে তার বিস্তারিত তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

টেলিভিশনগুলোকে স্বতন্ত্র আইনে পরিচালনার জন্য সম্প্রচার আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে তথ‌্যমন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, “আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পাঠাতে পারব। তার আগে ডিসেম্বরে মন্ত্রিপরিষদে দিতে পারব। সংসদ অনুমোদন দিতে পারলে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে সম্প্রচার কমিশন যাত্রা শুরু করতে পারবে।”

দেশে বিকাশমান টিভি মিডিয়ার জন্য কোনো নীতিমালা না থাকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “গণমাধ্যমের ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সময় এসে গেছে।”