অনুমোদনহীন পাঠশালায় শহিদুল দিয়ে যাচ্ছেন ‘অবৈধ’ সনদ

সরকারি কোনো সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই দেড় যুগ ধরে চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফির সার্টিফিকেট কোর্স চালিয়ে যাচ্ছেন সুপরিচিত আলোকচিত্রী, দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম।

ফয়সাল আতিক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2016, 03:16 AM
Updated : 6 August 2016, 12:26 PM

নিজস্ব বিবেচনায় স্নাতক, ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, লং কোর্সসহ বিভিন্ন নামে সনদ দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠিত পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট থেকে।

ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, পাঠশালায় নিজের একক আধিপত্য ধরে রাখতেই শহিদুল সরকারি অনুমোদন নিয়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে চলেছেন। অন্য দিকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া বা নীতিমালার আওতায় আসার ‘চেষ্টা চলছে’ বলে তিনি দেশ-বিদেশে প্রচার করে আসছেন প্রায় দুই দশক ধরে।

“এর মাধ্যমে নিয়ে আসছেন কোটি কোটি টাকার অনুদান। সেই অনুদানের টাকা স্থানান্তর করছেন দৃক গ্যালারিসহ নিজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে। এ জন্য তাকে কোথাও জবাবদিহি করতে হচ্ছে না,” বলেন পাঠশালার সাবেক এক শিক্ষক।

অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাঠশালা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান; একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হয়।

“এটা ঠিক যে এ ধরনের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। আমাদের সেটা এখনও নেই। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

সেই চেষ্টার বিবরণ দিতে গিয়ে শহিদুল বলেন, “কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে এটা বাস্তবায়িত হবে। ওরা কারিকুলাম, ফ্যাসিলিটিজ দেখে, আরও কিছু বিষয় দেখে। এসব বিষয়ে ক্লারিফিকেশন দেওয়ার কাজ এখন চলছে।”

অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে শহিদুলের দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেছেন, অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের দেওয়া সনদও ‘অবৈধ’।

“অনুমোদন ছাড়া এ রকম কোনো প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারে না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

‘সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসাবে আলোকচিত্র শিল্পকে অনন্য উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৯৯৮ সালে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান স্কুল অফ ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠা করেন দেশ-বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রিধারী শহিদুল আলম।

কয়েক বছর আগে এটি পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট হয়। সিনেমা ও ফটোগ্রাফি নামে দুটি বিভাগ চালু আছে এই প্রতিষ্ঠানে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, নভো এয়ারের চিফ ফিনানশিয়াল অফিসার আরশাদ জামাল, মাটির ময়না চলচ্চিত্রের প্রযোজক ক্যাথরিন মাসুদ, নারীনেত্রী খুশি কবির, নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির, বিদেশি আলোকচিত্রী পেদ্রো মেয়ার, আলোকচিত্রী রঘু রাই ও রুপার্ট গ্রের নাম উপদেষ্টা হিসাবে দেখানো হয়েছে পাঠশালার ওয়েবসাইটে।

এক বছর মেয়াদী কোর্সের জন্য পাঠশালায় আদায় করা হয় ৮০ হাজার টাকা। অন্যান্য কোর্সের জন্য রয়েছে পৃথক ফি।

দেশীয় স্বীকৃতি না থাকলেও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পাঠশালার সনদকে মূল্যায়ন করছে বলে দাবি করেন রসায়ন শাস্ত্রে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রিধারী শহিদুল আলম।

শহিদুল আলম (ফাইল ছবি)

“বিশ্বে পাঠশালাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। পাঠশালায় যে ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ফটোগ্রাফির ওপরে, সেটা বিশ্বের খুব কম জায়গাতেই দেওয়া হয়।”

“যেহেতু আমাদের দেশীয় স্বীকৃতি নেই। সে কারণে তারা (বিদেশিরা) একটি টিম পাঠিয়ে আমাদের যাচাই বাছাই করেছে। ইক্যুইভ্যালেন্স বলে একটা ব্যাপার আছে, সেটা তারা দেখেছে। এরপর তারা গ্রহণ করেছে এই মর্মে যে, পাঠশালার যেসব ডিগ্রি দেওয়া হয় সেগুলো তাদের সমতুল্য বলে গ্রহণ করা হল।”

সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাঠশালার ছাত্রছাত্রীদের যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করছে এবং পাঠশালার কয়েকজন গ্র্যাজুয়েট এখন অস্ট্রেলিয়াতে পিএইচডি করছেন বলে দাবি করেন শহিদুল।

প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৮ বছর পরেও কেন পাঠশালার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেওয়া হলো না- এ প্রশ্নের উত্তরে শহিদুল আলম বলেছেন ‘নানা রকম সমস্যার’ কথা।

“ফটোগ্রাফির মান যাচাই করার মতো বিশেষজ্ঞ তাদের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের) নিজেদেরই নেই। কাজেই যাছাই করবে কারা? বিদেশিরা করতে পারছে কারণ তাদের সেই কাঠামোটা রয়েছে। তারপরও একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তারা চেষ্টা করছেন, আমরাও চেষ্টা করছি। হবে আশা করি।”

এর আগে ব্র্যাকের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি জানিয়ে শহিদুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ব্র্যাককে এ ধরনের কাজে যুক্ত হওয়ার অনুমোদন দেয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ করতে কতদিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে শহিদুল বলেন, “তারা পরিদর্শন করে অ্যাপ্রুভ করে গেছে। কিন্তু কাজ শেষ হতে কতদিন লাগবে সেটা বলতে পারি না। আমাদের দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের কথা তো নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাঠশালাকে তার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো প্রক্রিয়া এখন চলছে না।

“সাত বছর আগে তারা (পাঠশালা কর্তৃপক্ষ) একবার যোগাযোগ করেছিলেন। তবে সেই প্রক্রিয়া সেখানেই থেমে গেছে। সেটা কোনো পরিণতি পায়নি।”

পাঠশালার দেওয়া একটি সনদ

পাঠশালার সাবেক একজন শিক্ষক এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শহিদুল আলম আদৌ এ ধরনের স্বীকৃতি অর্জন করতে চান কি-না তা নিয়ে তারা সন্দিহান।

“কারণ এই কাজটি হয়ে গেলে সেখানে তার একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নষ্ট হবে। ফলে তিনি যখন ইচ্ছে কাউকে চাকরি দিতে আবার বরখাস্ত করতে পারবেন না।”

ওই শিক্ষক এখন দেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আলোকচিত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। বোধগম্য কারণেই নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।

অনুমোদন ছাড়াই পাঠশালা স্নাতক বা ডিপ্লোমা সনদ দিতে পারে কি না- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “তারা মানুষকে ঠকাচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। তারা বিদেশ থেকে যে টাকা-পয়সা পাচ্ছে, এটাও বেআইনি। তারা এভাবে অনুদান আনতে পারে না।”

দেশে সরকারি বা সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের ‘অভাব নেই’ মন্তব্য করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “আপনারা যেখানে ভর্তি হচ্ছেন বা ছেলেমেয়েদের ভর্তি করছেন- সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটু জানুন।”

স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শহিদুল জানিয়েছিলেন, লন্ডনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় কাকতালীয়ভাবে ছবি তোলার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি।

১৯৮৪ সালে দেশে ফিরে তিনি আলোকচিত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেন; ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দৃক। আলোকচিত্র গ্রন্থাগার হিসেবে শুরু করলেও পরে দৃকের সঙ্গে যুক্ত হয় দৃক গ্যালারি, পাঠশালা, দৃক আইসিটি।

গত এপ্রিলে পাঠশালার সিনেমা বিভাগের প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা ইশতিয়াক জিকোসহ কয়েকজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেন শহিদুল আলম।

আর্থিক দৈন্য দশায় পড়া প্রতিষ্ঠানকে ‘রেসকিউ’ করতে ওই উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন তিনি।

শিক্ষকদের ওইভাবে ছাঁটাইয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সিনেমা বিভাগের এক বছর মেয়াদী কোর্সের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের না ফেরালে প্রতিষ্ঠান ছাড়ার হুমকি দেন তারা, যদিও ততদিনে ৮০ হাজার টাকা কোর্স ফির অর্ধেক তারা পরিশোধ করে ফেলেছেন।

ইশতিয়াক জিকোর পক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

জিকোসহ চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা সে সময় আর ফিরতে পারেননি। নিজেদের দাবিতে দৃঢ় শিক্ষার্থীরা শেষ পর্যন্ত পাঠশালা ছেড়েছিলেন।

সেই শিক্ষার্থীদের একজন মিতালী দাশ বলেন, “সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে একটা মতাদর্শগত জায়গা থেকে জিকো ভাইয়ের অধীনে আমরা কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম। তাকে সরানোর পর আমাদের আর থাকার প্রশ্ন আসে না।

“এটা তো গতানুগতিক পাঠ্য বইয়ের পড়া নয়। এটা সিনেমার মতো একটি বিষয়। তাই শিক্ষক এখানে গুরুত্বপূর্ণ।”

ওই ঘটনা প্রসঙ্গে জিকো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রহস্যজনক কারণে তিনি (শহিদুল) পাঠশালার কোনো কর্মীকে এক বছরের বেশি থাকতে দেন না। এটা তার কৌশল।

“পাঠশালার সিনেমা বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিদেশি অনুদানের ওপর ভিত্তি করে। ওই অনুদানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে শহিদুল আলম আমাকে নতুন অনুদান এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু তাতে আমি রাজি হইনি।”

জিকো বলেন, অনুদান সংগ্রহের বিষয়টি তার কাজের আওতায় ছিল না। তাছাড়া প্রথমবার যে অনুদান এসেছিল তার বণ্টনেও ‘স্বচ্ছতার অভাব’ ছিল।

“অস্বচ্ছতার অনেক লক্ষণ দেখেও তখন পরিস্থিতির কারণে বিভাগের সমন্বয়ক হিসাবে অনুদান ব্যয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেছিলাম। মূলত নতুন অনুদান না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাকে এবং আমার সঙ্গে আরও ৪/৫ জনকে একদিনের নোটিসে চাকরিচ্যুত করেন। এখানে কোনো চাকরিবিধি মানা হয়নি।”

নাফিক ফান্ডের অনুদান

২০১১ সালের অক্টোবরে পাঠশালার সিনেমা বিভাগের দক্ষতা উন্নয়ন খাতে নেদারল্যান্ডস সরকার থেকে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার অনুদান আসে। তিন বছর মেয়াদী ওই তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত ছিল বিভাগটিকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা; ইউজিসি তথা সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনসহ জাতীয় পর্যায়ে অ্যাক্রেডিটেশন পাওয়া এবং ব্রডকাস্ট সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রোগ্রাম চালু করা।

শহিদুল আলম (ফাইল ছবি)

সিনেমা বিভাগের সাবেক কয়েকজন পরিচালকের অভিযোগ, কর্মসূচির বাস্তবায়ন না হলেও সাড়ে আট কোটি টাকার প্রায় সবটাই খরচ দেখিয়ে তুলে এনেছেন শহিদুল আলম।

প্রকল্পের শুরু থেকে যুক্ত অর্ণব চক্রবর্তী তহবিল সংগ্রহে জড়িত ছিলেন। সিনেমা বিভাগের পরিচালক অর্ণবকে মাঝ পথে বিদায় করে দেওয়া হয়।

প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে অর্ণব চক্রবর্তী সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।

অর্ণব যাওয়ার পর যুক্ত জিকো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার হাত দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি হলেও কয়েকটি খাতের স্বচ্ছতা নিয়ে মনে সন্দেহ জাগে। কিন্তু তখন বাস্তব কারণে প্রতিবাদ করতে পারিনি।”

তহবিলের টাকায় কিছু যন্ত্রপাতি কেনা হলেও উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের বেশিরভাগ অংশ ‘কৌশলে সরিয়ে ফেলা’ হয় বলে অভিযোগ জিকোর। 

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শহিদুল আলম বলেন, “হ্যাঁ, আমরা এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মনোন্নয়নের চেষ্টা করছি। ওই ফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উন্নয়ন করার শর্ত ছিল। যেহেতু আমাদের প্রচেষ্টা চলছে, তাই সেই শর্ত ভঙ্গ হয়নি। তারা টাকা ফেরতও নেয়নি। পুরোটাই খরচ করা গেছে।”