বাংলাদেশে কর্মরত নিজ দেশের এক কূটনীতিকের জঙ্গি ‘যোগসাজশের’ ‘ভিত্তিহীন’ খবরের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) দায়ী করেছে পাকিস্তান হাই কমিশন।
Published : 16 Dec 2015, 07:28 PM
ফারিনা আরশাদ নামে ওই নারী কূটনীতিকের ‘জঙ্গি যোগসাজশের’ খবর বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর তার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার পাঠানো এক বার্তায় এই দাবি করা হয়।
ওই খবরটি ‘কাল্পনিক’ দাবি করে প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, “জানা গেছে, এই ‘কাহিনীটি’ গণমাধ্যমে ফাঁস করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। আর গণমাধ্যমের একটি অংশ যাচাই না করেই খবরটি ছাপিয়ে দিয়েছে।”
জঙ্গিদের অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের মাযহার খান নামের এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর সন্দেহভাজন কয়েকজন জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ইদ্রিস শেখ নামে তাদের একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে এক নারী কূটনীতিকের জঙ্গি যোগসাজশের তথ্য পাওয়ার দাবি করে ডিবি।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত হওয়া ইদ্রিস আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তার সঙ্গে পাকিস্তান হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ফারিনার যোগাযোগের তথ্য জানান।
গত ১৪ ডিসেম্বর এই খবরটি প্রকাশের আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে পাকিস্তান হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাতে সাড়া মেলেনি তখন। এর দুদিন পর তাদের প্রতিবাদ লিপি এল।
প্রকাশিত খবরের নিন্দা জানিয়ে এতে বলা হয়, “সব কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও সৌজন্য হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে হোস্ট কান্ট্রিকে (বাংলাদেশ) অস্থিতিশীল করতে অশুভ চক্রান্তের কাল্পনিক এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশন (ফাইল ছবি)
“হতাশার বিষয় হচ্ছে, সেই কর্মকর্তার ছবিও গণমাধ্যমে বেপরোয়াভাবে প্রকাশ করা হয়েছে এবং তার চরিত্রে অমার্জিত কটাক্ষ করা হয়েছে। এটা কেবল চরিত্র হত্যার ঘৃণ্য চেষ্টাই নয়, বরং ওই কর্মকর্তার নিরাপত্তাও বিপন্ন করে তুলেছে।”
“ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশে ঘটা সর্বশেষ ঘটনা হোক এটি,” প্রত্যাশা করে পাকিস্তান হাই কমিশন বলেছে, “একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশই পাকিস্তানের শক্তি বাড়াতে পারে, অন্য যে কোনো কিছু তা ব্যাহত করবে।”
পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রতিবাদ লিপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোয়েন্দা বিভাগকে উল্লেখ করে যে অংশটুকু প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।
“ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোনো রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করে বা বাংলাদেশে কর্মরত কোনো ডিপ্লোমেট বা কোনো কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মিডিয়াতে কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।”