প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজসহ তিনজনকে দুই দিন করে হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 20 Sep 2015, 06:13 PM
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আহাদ আলী রোববার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামি ওমর সিরাজ, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের স্টোরকিপার রেজাউল করিম ও ঈশান ইমতিয়াজ হৃদয়ের পক্ষে এর বিরোধিতা করেন তাদের আইনজীবী হাবিবুর রহমান বাপ্পী।
রিমান্ড আবেদনে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। তারা মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ছিলেন কি না- সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ সেখানে ছিল না।
অন্যদিকে বাপ্পি আদালতকে বলেন, কথিত ঘটনার আলামত র্যাব ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করেছে। সুতরাং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোনো প্রয়োজন নেই।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার সারাদেশে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কার্যালয় থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই দিন রাতেই ওমর সিরাজকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরদিন একই ব্যবস্থা নেওয়া হয় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
এই তিনজনকে আসামি করে ঘটনার দিনই পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষা আইন এবং দণ্ডবিধির ১৭৩ ধারায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়।
র্যাবের দাবি, অভিযানে তারা আসামিদের কাছ থেকে ২০১৪ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার ২৩টি উত্তরপত্র, একই পরীক্ষার দুটি প্রশ্নপত্র, ২ লাখ টাকা ও একটি ব্যাংকের চার লাখ টাকার চেকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি আইপ্যাড জব্দ করেছে।
ওমরকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এবং কৃষি ব্যাংক, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার হলে ‘উত্তরপত্র বিতরণকারী’ চক্রের হোতা বলেও দাবি করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
তদন্ত কমিটি
ওমর সিরাজের বিরুদ্ধে ওঠা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আবুল হাশেমকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অ্যধাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা ও কমিশন সচিব মো. খালেদ।
ইউজিসির যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন) মো. ফখরুল ইসলামকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে জানিয়ে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন বলেছে, এই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে।