মতামত প্রদানকারীর পরিচয় ‘গোপন রেখে’ প্রাপ্ত তথ্য শুধুমাত্র সংস্কার কাজের সহায়তায় ব্যবহৃত হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
Published : 03 Nov 2024, 07:06 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি অবস্থানের কারণে তোপের মুখে থাকা পুলিশকে ‘পাল্টে ফেলতে’ জনসাধারণের কাছে তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেকে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সবার কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গুগল ফরমের (https://forms.gle/kcXcL247eTbp3fHk6) এই লিংকে অথবা পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েব সাইটে (www.prc.mhapsd.gov.bd) প্রবেশ করে ‘কেমন পুলিশ চাই’ লিংকে ক্লিক করে জনসাধারণকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তাদের ‘মূল্যবান মতামত’ দিতে বলা হয়েছে।
মতামত প্রদানকারীর পরিচয় ‘গোপন রেখে’ প্রাপ্ত তথ্য শুধুমাত্র সংস্কার কাজের সহায়তায় ব্যবহৃত হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করতে কিছু পুলিশ সদস্যের সহিংস ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে ‘পুলিশ সংস্কার’ এখন সময়ের দাবি।
“সে লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করেছে, যার কার্যক্রম চলমান। পুলিশ সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে আপনার মূল্যবান মতামত জানতে চায়।”
গত ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনকে প্রধান করে পূর্ণাঙ্গ ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়।
একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ নয় সদস্যের এই কমিশন ‘জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ’ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার কাজের জন্য সুপারিশ করবে বলে সেখানে জানানো হয়।
৯০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১১ সেপেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কমিশনের প্রধানের নাম ঘোষণা করেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে কি না, সেই প্রশ্নে আন্দোলনটি তেঁতে উঠে সরকার পতনের এক দফায় চলে যাওয়ার পেছনে যেসব কারণের কথা উঠে আসছে, তার মধ্যে একটি হল পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ।
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে রাবার বুলেট ছোড়ার মত পরিস্থিতিও ছিল না, এ কথা এক বাক্যে বলছেন সবাই। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার লুটিয়ে পড়া এবং পরে মৃত্যুর ঘটনাটিই লাখো মানুষকে রাজপথে নামিয়ে আনে।
এই আন্দোলনে সরকারি হিসাবে ৮৬৩ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাবে এই সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।
পুরনো খবর...
সংস্কার: পুলিশ জনবান্ধব হবে কোন তালিসমানে