বানভাসি মানুষের পুনর্বাসন কতদূর?

অর্থাভাবে এখনও ঘর মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেননি হাওরাঞ্চলের বানভাসি মানুষ।

মরিয়ম সুলতানাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2022, 06:20 PM
Updated : 24 July 2022, 06:20 PM

খামারের হাঁসের সঙ্গে ভেসে গেছে গোলার ধানও। বানের পানি নেমে যাওয়ার পর বসতভিটায় ফিরলেও কামরুল হোসেনের ঘরটি এখন আর থাকার মতো নেই।

নেত্রকাণার মদন উপজেলার পদ্মশ্রী ইউনিয়নের কামরুলের খামারে ৭০০ হাঁসের মধ্যে পানির তোড়ে ভেসে গেছে ৫০০টি। বাকি যে ২০০টি আছে তার খাবার জোগাতেই এখন তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাত্র ২০-৩০ মণ ধান উঁচু একটি গোলায় অবশিষ্ট আছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই খামারি বললেন, “মাচার ঘরে ধান আছিল। সব ডুইব্বা গেছে। বন্যায় লইয়া গেছে। ধান নাই আর… টাকা পয়সা তো মনে করেন, হাঁস তো ডিম পাড়তো, হাঁসের ডিম বিক্রি কইরা খাবার জোগাইতাম। এহন তো এই ডিমও নাই, টাকাও নাই। এখন কষ্ট কইরা, সুদের বিনিময়ে ঋণ কইরা, ধার-টার কইরা ধান-টান কিইন্না খাওয়াইতেছি।”

গত জুনের মাঝামাঝি শুরু হওয়া ১৫ দিনের বন্যা আর জলাবদ্ধতায় গোলার ধান ভেসে গেছে কামরুলের। হাঁসের খাবারের জন্য গোলায় ২০০ মণ ধান ছিল, যার বাজার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো।

কামরুল জানান, ৭০০ হাঁসের জন্য দৈনিক দেড় মণ ধান লাগত। এখন হাঁসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় লাগছে ৩০ কেজি। ধানের দাম মণপ্রতি ১২০০ টাকা হওয়ায় এখন দিনে লাগছে ১০০০ টাকা।

২ লাখ টাকার হাঁস এবং প্রায় আড়াই লাখ টাকার ধানের ক্ষতি হয়েছে কামরুলের। তার ওপর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে থাকার ঘরটিও।

“সব ভাসাইয়া লইয়া গেছে, বাড়িঘর ভাইঙ্গা-টাইঙ্গা গেছে। বর্তমানে পুরান-মুরান টিন-টুন দিয়া ছাপরার মতন বান্ধা আছে… ত্রাণ পাইছি, কিন্তু ঘর বানানোর জন্য টাকা পাই নাই। আমগোর এলাকার কেউ পায় নাই।”

গত মে মাসে হাওর অঞ্চলে প্রথম দফায় সংক্ষিপ্ত বন্যা হয়। এতে বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও জুনের মাঝামাঝি ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরের রেকর্ড বৃষ্টি (৯৭ সেন্টিমিটার) হয়।

সেই পানি পাহাড়ি ঢল হয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে। এতে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জসহ হাওরের ১৪টি জেলা কম-বেশি বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।

প্রায় ৬০ লাখ মানুষ কয়েক সপ্তাহের জন্য গৃহহারা হয়ে যায়, বিলীন হয় ঘরবাড়ি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সিলেট জেলায় ৪০ হাজার ৯১টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা সুনামগঞ্জে ভেঙেছে ৪৫ হাজার ২৮৮ বাড়ি।

পুনর্বাসন কতদূর?

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের জন্য ৫ কোটি করে মোট ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

পুনর্বাসনের জন্য দুই জেলার মোট ১০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা এই অর্থ ইতোমধ্যে বিতরণও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

তবে প্রয়োজনের তুলনায় এই অর্থ অপ্রতুল। বন্যাকবলিত হাওরাঞ্চলের কয়েক হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অর্থাভাবে এখনও ঘর মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেনি।

নেত্রকোনার কামরুল হোসেনের মতো পুনর্বাসনের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বটদল গ্রামের ৬২ বছর বয়সী মকবুল হোসেন।

তার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বলে শেষ করার মতো নয়।

“ক্ষেতের ধান মাচার মধ্যে চাপায়া-চুপায়া কিছু রাখছিলাম। কিন্তু ঘরের মধ্যে তিন ফুট পানি হইছে। এরপরে টাঙ্গুয়ার হাওরের পানির যে ঢেউ, ঢেউতে সব নিয়া গেছে। ওই সময় বাচ্চাকাচ্চা, নিজের জান বাঁচানই তো কঠিন, পরে জাগা ছাইড়া আমরা অন্য জাগায় গেছিগা।”

মকবুল বলেন, “আমার অর্ধেকটা ঘর ভাইঙ্গে নিছে। এখনও আমি ঘুমাইতে পারতেছি না এখানে। বাঁশের চাটাই ভাইঙ্গা উঁচা জায়গায় ঘুমাইতেছি। জিনিসপত্র যা আছে, সব বন্যায় নিয়া গেছে… বাড়িঘর কীভাবে ঠিক করব?

“পয়সাপাতি তো দরকার। আমি বুড়া মানুষ, আমি তো কর্ম করতে পারি না… আমি একটা টাকাও পাই নাই সরকার থেকে। মেম্বার আমারে দেয় নাই, কারণ মেম্বার আমার এন্টি পার্টির লোক।”

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সায়মুন কবির জানান, তার ইউনিয়নে পুনর্বাসনের জন্য ঘর দিয়েছে ৪০টা, এর মধ্যে তার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬টি। এছাড়া ৬ জনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “আমাদের গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র ব্যক্তিদের দিছি, কাছের মানুষ না, দূরার মানুষ আনার… আমাদের গ্রামে আছে ৫৭০টা ঘর… যারা অসহায়, মেরামত কইরা ঘরে থাকতে পারে না, তাদেরকে দিছি…

“আমার গ্রামে ৭০০ ভোটে পাশ করছি আমি, আরেকজন ৫২০ ভোট পাইছে। এখন এরা সবাই আমার। যে আমারে দিছে, সেও আমার। যে দিছে না, সেও আমার। আমি এক নজরে দিছি।

এই ইউপি সদস্য জানান, গ্রামের পূর্বদিকে বলদা নদী, পশ্চিমদিকে টাঙ্গুয়া এবং মাঝখানে হাওর। গ্রামটিতে সহায়তা পাওয়ার মতো ৫০টি পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ পরিবারে সহায়তা লাগবে।

সায়মুন কবির বলেন, “ঘরবাড়ি নাই, অসহায় অবস্থায়, থাকতে পারতাছে না এখন পর্যন্ত; আপনারা যদি সরাসরি তথ্য নেন, আমি হতদরিদ্র পরিবার দেখায় দিতে পারব।”

এই গ্রামের বাসিন্দা, আট সন্তানের বাবা মোহাম্মদ এখতিয়ার উদ্দিন জানান, তার গোলায় ৩০-৩৫ মণ ধান ছিল, যা দিয়ে তারা অবলীলায় ছয় থেকে আট মাস চলতে পারতেন।

“আমরার যে ক্ষতি হইছে, এইটা সীমাহীন। মানে, আমার যে গোলা থেইকে, ২ মন ধান পর্যন্ত রাইখতে পারছি না।”

এখতিয়ারের আট সন্তানের মাঝে দুইজন এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। কিন্তু বন্যার পানিতে ঘর-দোর, ফসলের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পড়াশোনা।

“দুইজন ম্যাট্রিক দিত, এবার তো মেট্রিক দেওয়াইতে পারব না। পরের বছর দেওয়াব।”

ত্রাণ পেলেও সরকার থেকে পুনর্বাসনের জন্য কোনো সহায়তা পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা অহন, বর্তমানে যে অবস্থায় আছি, কুনোরহম, কুনোরহমে আছি। অহন ফানি কমছে, ঘর পুরা ঠিক করতে পারছি না। কুনোরহম থাকার ব্যবস্থা করছি আর কি। আমার টিনের বেড়াটেড়া সব শেষ… যাদির এইকবারে বেশি ক্ষতি হইছে, ঘরদুয়ার পইড়ছে, তারা পাইছে।”

বেসরকারি উদ্যোগ

হাওর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি কাসমির রেজা ‍বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুনামগঞ্জ জেলায় পাঁচ হাজার ঘরকে (পরিবার) ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হইছে। এর মাঝে তাহিরপুর উপজেলায় দেওয়া হইছে ৫০৮ পরিবারকে। কিন্তু তাহিরপুরের মতো উপজেলায় অন্তত ১০ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।”

তিনি জানান, ২২ জুলাই পর্যন্ত তাদের সংগঠন ৮০টি ঘর করে দিয়েছে এবং আরও ১৫০টি ঘর তৈরি করবে।

“বেসরকারি পর্যায় থেকে আমরাসহ মোট ৫০০ ঘরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তাহলেও এখনও নয় হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ জেলায় ৭০০০-৮০০০ মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে…পুনর্বাসনটা জরুরি এখন। নয়তো, আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে অনেক মানুষ বাড়িতে যেতে পারবে না।”

বন্যার শুরু থেকে সংগীতশিল্পী তাসরিফ ‘ক্রাউড ফান্ডিংয়ের’ মাধ্যমে বানভাসি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। পানি নেমে যাওয়ার পর গত ১৯ জুলাই থেকে সুনামগঞ্জে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছেন।

বন্যা পরবর্তী অবস্থাকে আরও চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বন্যায় বিপদে পড়ার পর মানুষ যেখানে গেছে, সেখানে অন্তত চাল ছিল। অন্য কারোর বাড়িতে আশ্রয় নিলেও মাথার ওপর ছাদ ছিল।

“আশ্রয়কেন্দ্রগুলাতে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়নি। কিন্তু অন্যের বাড়িতে যারা আশ্রয় নিয়েছিল, এখন তো এই মানুষগুলারে তারা রাখতেছে না, এটাই স্বাভাবিক। এখন তো ঘরে ফিরতে হইছে, কিন্তু ঘর তো নাই। বেশিরভাগ জায়গায় এখন এমন হইছে যে চতুর্দিক খোলা, উপরেও খোলা, কোনোমতে কেউ চাদর বিছায়ে ঘুমাচ্ছে। কেউ হয়তো কাঠের টুকরা বা বাঁশ দিয়া বিছানা বানাই নিছে। একেবারে গৃহহীন অবস্থায় অন্তত ২০ হাজার পরিবার আছে।”

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হিসাব জানতে সাত দিনে ১৫টি উপজেলায় জরিপ একটি চালানো হয় বলে জানান তাসরিফ।

সেই তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “সুনামগঞ্জ, সিলেট মিলে অ্যাট লিস্ট ৫০ হাজার ঘর রিবিল্ড করতে হবে। এর মধ্যে ২০ হাজারের বেশি ঘর একদম মাটির সাথে মিশে গেছে। একদম চলে গেছে, মানে নাই। ভিটা আছে, ঘর নাই। এরকম।”

তিনি জানান, বন্যার শুরুতে ‘ক্রাউড ফান্ডিংয়ের’ মাধ্যমে ত্রাণের জন্য আড়াই কোটি টাকা তুলতে পারলেও পুনর্বাসনের জন্য মানুষ সাড়া দিচ্ছে না। তহবিল সংগ্রহে তাই চ্যারিটি শো করবেন, যাতে অন্তত এক হাজার ঘর করতে পারেন।

“এর আগের বার ২৪ ঘণ্টায় এক কোটি টাকা চলে আসছিল। অথচ এবার ২ দিনে আসছে ২ লাখ ৮১ হাজার টাকার মতো। এবার যেহেতু এই ইস্যুটা আর ভাইরাল না, বন্যার পানি নেমে গেছে বলে অনেকে চোখ ফিরায় নিছে। এখানে আপাতত কারোরই নজর নাই, লিটারেলি কারোরই নজর নাই।”

সরকারি তৎপরতা কতটা?

বানভাসি মানুষ যাতে আবারও ঘর বানিয়ে বসবাস করতে পারেন, সেজন্য সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ করা ১০ কোটি টাকা ছাড়া উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ দেখা যায়নি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত শুধু সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পুনর্বাসনের জন্য চার হাজার বান্ডিল ঢেউ টিন এবং ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ জেলা প্রশাসকদের দেওয়া হয়।

এই সময় বন্যাকবলিত ১৩ জেলার মানুষের জন্য চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ এবং ৮৭ হাজার প্যাকেট/ বস্তা শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এর মাঝে সিলেটে দেওয়া হয় ১৭০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ অর্থ ৩ কোটি টাকা এবং ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। আর সুনামগঞ্জের জন্য বরাদ্দ ছিল সমপরিমাণ অর্থ, ১৩০০ মেট্রিক টন চাল এবং ২৮০০০ প্যাকেট খাবার।

এরপর গত ২০ জুলাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা হিসেবে দেশের মোট ২১ জেলায় আরও ৪৯ হাজার ৩০৯ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেয়।

পুনর্বাসনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী সপ্তাহে কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত মিটিংয়ে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আলোচনা হবে।

পরে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “পুনর্বাসনটা এখন শুরু হবে, আগে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট হবে, কৃষক বীজ পাবে…আফটার অ্যাসেসমেন্ট সব হবে…আমরা তখন তাৎক্ষণিক চাহিদার ভিত্তিতে ত্রাণটা দিয়েছি।”

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, তারা এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ১৯২৮ মেট্রিক টন চাল এবং ২০ হাজার ২৯৮ ব্যাগ শুকনো খাবার বিতরণ করেছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১১৫৬ মেট্রিক টন চাল, ৪৭ হাজার বস্তা শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছে।

এই তালিকায় আরও রয়েছে- ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য, ১০ লাখ টাকার গো খাদ্য, ২ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, বন্যার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে পাওয়া ৫৫ লাখ এবং পরে পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ করা ৫ কোটি টাকা, ৫১১২ কৌটা ডানো গুঁড়া দুধের, ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে আসা ৪০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।