জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “সংসদ পরিচালনায় মরহুম ফজলে রাব্বী মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।”
ফজলে রাব্বী আত্মার মাগফিরাত কামনা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
দীর্ঘ নয় মাস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৪টায় যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে মারা যান ডেপুটি স্পিকার। তিনি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গাটিয়া গ্রামে।
জাতীয় পার্টির হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ফজলে রাব্বী পরে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে এই দলেই ছিলেন তিনি।
১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৯ সালে আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদে যান। পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় হুইপ ছিলেন।
নবম সংসদে ফজলে রাব্বী সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি, কার্য উপদেষ্টা কমিটি, কার্য প্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দশম সংসদে ডেপুটি স্পিকারের চেয়ারে বসেন ফজলে রাব্বী মিয়া। একাদশ সংসদেও টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তার মৃত্যুতে পৃথক শোকবার্তায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন।