“আমরা ফের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান পুনরুদ্ধার করতে চাই,” বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
Published : 21 Apr 2025, 12:24 AM
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও আনসার সদস্যদের যুক্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশন এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়ে ল্যাক্রয় সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা বিষয়ে কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ আরও বেশি হারে বাহিনীর সদস্যদের নেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের আওতায় বিভিন্ন দেশে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যদের পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। তাছাড়া মিশনে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানোর ‘ব্যাপক’ সুযোগ থাকায় এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহযোগিতা প্রয়োজন মনে করেন তিনি।
শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একসময় শীর্ষে থাকলও এখন তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে, এমন তথ্য দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নেপাল ও রুয়ান্ডা বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আমরা ফের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান পুনরুদ্ধার করতে চাই।”
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের কথা তুলে ধরে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “পুলিশসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রদর্শনের মাধ্যমে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।”
শীর্ষ পদগুলোতে যাতে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা আরও বেশি হারে দায়িত্ব পালন করতে পারেন জাতিসংঘ সে চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানোর জন্য একটি ‘ফিমেল’ প্লাটুন প্রস্তুত রয়েছে তুলে ধরে এ ব্যাপারে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশন (ডিপিও) এর সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের আরও সময়োপযোগী ও কার্যকরী উদ্যোগ প্রত্যাশা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “জাতিসংঘ মহাসচিবের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের পর রোহিঙ্গা সমস্যা দূরীকরণে আমাদের জনগণের মধ্যে আশা জেগেছে।”
বৈঠককালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, যুগ্মসচিব জসীম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।