বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার’ স্বীকৃতিতে দেশের পাঁচ নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য (যুদ্ধকালীন কমান্ডার) এবং সমাজসেবায় অবদানের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার মোছা. আছিয়া আলম এ বছরের বঙ্গমাতা পদক পেয়েছেন।
এছাড়া রাজনীতি ক্ষেত্রে সিলেট জেলার সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, অর্থনীতিতে কুমিল্লার সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ, শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ ভূষিত হয়েছেন বঙ্গমাতা পদকে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার বিতরণ হয়। তাদের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “সব সময় আমার মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী। আমার বাবার আদর্শটাকে তিনি ধারণ করেছিলেন। প্রতিটি কাজে তিনি সহযোগিতা করতেন।”
বঙ্গমাতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ দেওয়া হয়। সরকার বঙ্গমাতার জন্ম দিবস ৮ অগাস্টকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস ঘোষণা করেছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সারাদেশের ২ হাজার ৫ শ অসচ্ছল নারীকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও বন্যা কবলিত সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা জেলায় অসচ্ছল মানুষকে আর্থিক সহায়তা ও সারাদেশে ৪ হাজার ৫ শ সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব বঙ্গমাতার সংগ্রামী অনুকরণীয় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন।