মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র: হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র গউছ রিমান্ডে

গত মঙ্গলবার জি কে গউছ আটক করে ডিবি।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছকে দুইদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

গউছকে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতে জিডির অভিযোগ থেকে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে জি কে গউছ তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ অগাস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন গউছ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যার ষড়যন্ত্রের রহস্য উদ্ঘাটন ও মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে জি কে গউছকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

গউছের আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আদালতে বলেছি, এই পুলিশ কর্মকর্তা রিমান্ড চাইতে পারেন না। হবিগঞ্জের এই মামলার আইও (তদন্ত কর্মকর্তা) রিমান্ড চাইতে পারেন। তাকে হবিগঞ্জের আদালতে পাঠানো হোক।”

শুনানি শেষে সরাসরি আদেশ না দিয়ে বিচারক পরে নথি দেখে আদেশ দেবেন জানিয়ে রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ১৯ অগাস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ অগাস্ট জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ৭০০ এর মতো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পুলিশ।

ওই মামলায় গত মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মী হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।

এরপর গউছকে আটক করে ডিবি। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।