আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে কমিটি

কোটা সংস্কার থেকে সরকাপতনের গণআন্দোলনে হতাহতদের তালিকাও করবে এ কমিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি’ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের গণআন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে ‘স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি’ গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; হতাহতদের তালিকাও করবে এ কমিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম, যিনি ১৭ সদস্যের এ উপ-কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন।

তারেকুল বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ১৭ সদস্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সকল সদস্যকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সত্যায়িত আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে।

উপ-কমিটিতে আহ্বায়ক হয়েছেন নাহিদা বুশরা ইতি। সদস্য সচিব তারেকুল ছাড়াও অন্য সদস্যরা হলেন- আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মো. মাসউদুজ্জামান, মো. রাসেল মাহমুদ, মো. রিয়াজ উদ্দিন সাকিব, শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন, ডা. মো. মনিরুজ্জামান, ডা. আতাউর রহমান রাজিব, ডা. ইফফাত জাহান নাদিয়া, মাহমুদল হাসান, মো. মেহেদি হাসান, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (মেহেদী), মো. মাশরাফি সরকার, শাহরিয়ার হাসনাত তপু, মো. রামিম খান ও আবির হাসান।

তারেকুল বলেন, “ছাত্র-জনতার চব্বিশের বিপ্লবে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে এ কমিটি।

“এই কমিটির কোনো সদস্য কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে না। কোনো প্রকার অনুদান বা সহায়তা গ্রহণ কিংবা আহত বা নিহত পরিবারকে সরাসরি কোনো আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে না। সমন্বয়ক বা অন্য কোনো পরিচয়ে কেউ যদি ভুয়া চাঁদা বা টাকা কালেকশনের চেষ্টা করে, তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি দায়ী থাকবে না।”

স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য কিংবা উপ-কমিটির অনুমোদিত স্বেচ্ছাসেবী ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যদি সমন্বয়ক বা অন্য কোনো পরিচয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনের নামে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রদানে ব্যঘাত ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানান তরিকুল।

অপরদিকে হতাহতদের তথ্য প্রেরণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৬২৬৩ নম্বরে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে (০১৭৫৯১১৪৪৮৮, ০১৭৬৯৯৫৪১৯২) যোগাযোগ করা যাবে।

জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য উপ-কমিটির দুইটি মোবাইল নম্বরেও (০১৮১৮২৭৯২১৭, ০১৪০০৭২৮০৮০) যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে, বলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।