“তিনি মজার ছলে বলেছিলেন, সবাই ক্লাসে পড়ানোর চাইতে এসব পদে যেতেই আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের প্রতি সত্যিকার অর্থে তার এ ধরনের মন্তব্য করার প্রশ্নই ওঠে না।”
Published : 07 Oct 2024, 11:43 PM
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা এই ধরনের পদ চায় ‘৩০০, ৪০০, ৫০০ জন শিক্ষক, তারা কেউ ক্লাসে পড়াতে আগ্রহী নয়’ বলে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটি ‘মজার ছলে বলা কথা’ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
সোমবার দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত জানাতে এসে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করেছিলেন; যিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টির ব্যাখ্যা তুলে ধরে বিবৃতি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, “তার (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) হালকাভাবে বলা কথাকে পুরো শিক্ষক সমাজের প্রতি বিরূপ বক্তব্য হিসেবে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম সংবাদের শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার করেছে, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। আমরা সকল সংবাদমাধ্যমকে সতর্কতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানাই।”
উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় বিবৃতিতে বলা হয়, “গত ৭ অক্টোবর পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা একনেক সভার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো জানানোর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। শুরুতে তার ব্যস্ততা ও শারীরিক ক্লান্তির কথা বোঝাতে তিনি বলেছিলেন, তার কাছে চারশ থেকে পাঁচশ ভিসি, প্রোভিসি হওয়ার আবেদন আছে-যা তিনি এখনো যাচাই-বাছাই শেষ করতে পারেননি।
“এ প্রসঙ্গে তিনি (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) মজার ছলে বলেছিলেন, সবাই ক্লাসে পড়ানোর চাইতে এসব পদে যেতেই আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের প্রতি সত্যিকার অর্থে তার এ ধরনের মন্তব্য করার প্রশ্নই ওঠে না।”
'৫০০ শিক্ষক' ভিসি হতে চান, বিস্মিত শিক্ষা উপদেষ্টা
গভীর সমুদ্রবন্দরের ব্যয় ৬৫৭৩ কোটি টাকা বাড়াল অন্তর্বর্তী সরকার
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ একই সঙ্গে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন।
একনেক সভা শেষে ব্রিফিং চলার সময় মোবাইল ফোনে আসা একটি কল কেটে সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেছিলেন, ““বিশ্ববিদ্যালয়ের এত শিক্ষক… ৩০০-৪০০-৫০০ শিক্ষক সবাই কেন এত ভিসি হতে চায়, আমি বুঝি না।”
এসময় নিজের কথাও তুলে ধরে বলেন, “আমি তো কখনও ভিসি হতে চাইইনি।…শত শত ভিসি হতে চান, প্রো-ভিসি হতে চান, ইনারা পড়াতে চান না কেন। বুঝতে পারছি না আমি।”
এরপর এ বিষয়ে আর কথা বাড়াতে গিয়েও ‘আ… সরি’ বলে পূর্বের আলোচনায় ফিরে আসেন।