Published : 29 Apr 2025, 09:31 PM
জলবায়ু সংকট কেবল পরিবেশগত নয়, এটি ‘ন্যায়বিচার সংশ্লিষ্ট একটি সংকটও’ বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি আবুধাবিতে’ সোমবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার এখন আর কোনো বিলম্বিত আদর্শ নয়, বরং এটি একটি সংবিধানিক অঙ্গীকার।
‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড দ্য কনস্টিটিউশন: রিফ্লেকশন ফ্রম দ্য গ্লোবাল সাউথ’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠান হয় বলে সুপ্রিম কোর্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এতে নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটি আবুধাবিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আইনজ্ঞ, আইনজীবী ও অন্যান্য পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইতিহাস পর্যালোচনায় উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখলেও আজ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাবের মুখে পড়েছে তুলনামূলকভাবে কম কার্বন নিঃসরণকারী উন্নয়নশীল দেশগুলো।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে পরিবেশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন স্থায়ী আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষত বিপজ্জনক শিল্পগুলোর ক্ষেত্রে, যেমন জাহাজ ভাঙা শিল্পে পরিবেশগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উচ্চ আদালত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, পরিবেশগত অধিকারগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সহায়তায় শক্তিশালী আর্থিক ও আইনি কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।
“জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে একটি বৈশ্বিক নৈতিক মানদণ্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে বাস্তুচ্যুত জনগণের জীবন, আশ্রয় ও জীবিকা সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম- এমন আইনি কাঠামো প্রবর্তন করা জরুরি।”
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটি আবুধাবিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজ্ঞ, আইনজীবী ও অন্যান্য পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।