Published : 07 Aug 2023, 09:41 PM
জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে যারা মধ্যস্বত্বভোগী বা দালাল হিসেবে কাজ করেন, তাদেরকে রিক্রুটিং এজেন্সির অধীনে নিবন্ধন করাতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন (সংশোধন) ২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, “অভিবাসন কার্যক্রমের সঙ্গে আনঅফিসিয়ালি একটি গ্রুপ জড়িত থাকে, যাদের কোনো কাঠামোর মধ্যে আনা যাচ্ছিল না। তাদের ম্যানেজ কিংবা রেগুলেট করাও যাচ্ছিল না।
“এখন তাদের সাব-এজেন্ট কিংবা প্রতিনিধি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হবে। এতে তারা কোনো না কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির আওতায় আসবেন। তারা একটি সুনির্দিষ্ট বিধির আওতায় চিহ্নিত ও নিবন্ধিত থাকবেন। তাদেরকে এখন রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে নিয়ে আসা হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন সংশোধনের পর কেউ অননুমোদিতভাবে শাখা বা এজেন্ট নিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
‘অ্যালাইড হেলথ শিক্ষাবোর্ড’ হচ্ছে
মূল ধারার বাইরে থাকা স্বাস্থ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মান নিয়ন্ত্রণে একটি বোর্ড গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ‘বাংলাদেশ অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে স্বাস্থ্য শিক্ষায় এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং, ফার্মেসি- এই জাতীয় শিক্ষার সুনির্দিষ্ট কাঠামো আছে। এগুলো পরিবীক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে।
“এর বাইরে কিছু শিক্ষা থাকে। সেগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা পদ্ধতি, পাঠ্যসূচির ভালো কাঠামো নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এতো বেড়ে গিয়েছে যে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই বাস্তবতার আলোকে এ আইনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।”
মাহবুব বলেন, “একটি বোর্ড থাকবে; সেই বোর্ড এমবিবিএস, বিডিএস, নার্সিং, মিডওয়াইফারি, ফার্মাসি শিক্ষার বাইরে অন্য সহযোগী চিকিৎসা শিক্ষা ও অ্যালাইড হেলথ শিক্ষা কার্যক্রম তারা মনিটর করবে।”
বাংলাদেশে তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যখাতে কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এই বোর্ডে একজন চেয়ারম্যান থাকবে। এছাড়া মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ ও বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিন পরিচালক হিসেবে থাকবেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন প্রধান নির্বাহী। আর রেজিস্ট্রার প্রশাসনিক কাজের দায়িত্ব পালন করবেন।”
সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রত্মসম্পদ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।