ওষুধ কোম্পানির কোনো বিক্রয় প্রতিনিধি বা কোম্পানির পরিবেশকরা হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না।
Published : 18 Aug 2024, 11:11 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ওঠা সরকার পতন আন্দোলনের সময় আহতদের সব ব্যয় বহনের সরকারি ঘোষণার পরও চিকিৎসা বিল নেওয়া হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই সঙ্গে এসব আহতদের চিকিৎসা এবং সেবা প্রদানে অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি হলেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে সরকার।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) থেকে আহতদের সেবার বিপরীতে অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।
এতে বলা হয়, ওষুধ কোম্পানির কোনো বিক্রয় প্রতিনিধি বা কোম্পানির পরিবেশক হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না, প্রত্যেক চিকিৎসককে রোগী দেখার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে, সাক্ষাতের সময় ব্যতীত কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতর এবং রোগীর কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এ আদেশ পরিপালনে কেউ ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
এ নির্দেশনা দেশের সকল হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা এ বিষয়টি তদারকি করবেন বলেও জানানো হয় এতে।
গত ১৭ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ছাত্র ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।
এজন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীনদের কাছ থেকে বিল না নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছিল স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।