বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ডের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Published : 23 Sep 2024, 11:06 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রায়হান ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয় রায়হানকে। আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এরপর বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হানকে (২০) রোববার ভোরে গাজীপুরের রাজেন্দ্রনগর এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শামীম হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি তিনি।
শামীম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া এলাকার মোল্লাবাড়ীর ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে কয়েক দফায় মারধর করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৫ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে তাকে পেটানো হয়।
তার বিরুদ্ধে জমি দখলে সহায়তা ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
তাকে মারধরের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ শামীমকে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিলে রাত সোয়া ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শামীমের মৃত্যুর পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ২০ সেপ্টেম্বর সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন-
ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু: ৫ দফা মারধরের পর দেওয়া হয় পুলিশে
ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: জাবি শিক্ষার্থী রায়হান গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা