ডিবি কার্যালয়ের সামনে দেয়ালে কেউ লিখে দিয়েছে, ‘হারুনের ভাতের হোটেল বন্ধ’।
Published : 06 Aug 2024, 12:43 PM
মন্ত্রিপাড়া হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মিন্টো রোড ও আশপাশের বাংলোগুলোকে মঙ্গলবার পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। কোনো কোনো বাংলোতে দু-একজন নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও বেশিরভাগই তালা মারা, ভেতরে সুনসান।
বেলা ১০টার পর দেখা গেছে, মিন্টো রোডে অবস্থিত পুলিশের আইজিপির সরকারি বাস ভবনটিতেও কেউ নাই। দরজায় তালা, ভেতরে সুনসান নীরবতা। ডাকাডাকি করেও কারো দেখা মিলল না। তবে ভেতরের শেডে কয়েকটি গাড়ি রয়েছে।
এর পেছনে মন্ত্রীদের তিনটি বাংলাতে কেউ নেই। ফটকে বড় তালা। সাজানো-গোছানো বাগান, দামি গাড়ি পড়ে রয়েছে বাংলাগুলোর ভেতরে।
মিন্টো রোডে একই সড়কে বহুল আলোচিত ডিবি কার্যালয়। বাংলাগুলোতে কাউকে পাওয়া না গেলেও ডিবি কার্যালয়ের সামনে চার পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা গেল। নির্ঘুম রাতের ধকলে তাদের সবার চোখ লাল।
একজন বললেন, "রাতে ঘুমামু কেমনে ভাই। স্যাররা কেউ নাই, সব পালাইছে। চারদিক থেকে সব খারাপ খারাপ খবর আসতেছে। থানায় থানায় হামলা হইছে। এই পর্যন্ত টিকা রইছি, এইডাই অনেক।"
ডিবি কার্যালয়ের সামনে দেয়ালে কেউ লিখে দিয়েছে, ‘হারুনের ভাতের হোটেল বন্ধ’। এই প্রাঙ্গণের ভেতরেই বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ অফিস করতেন।
ডিবি কার্যালয়ের উল্টো পাশে ব্যাংক ভবনে লোকজন আছেন। তার পাশে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টার। সেখানে দেখা হল মিডিয়া সেন্টারের কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে। তাদেরও সবার চোখ লাল।
কাঁদো কাঁদো একজন জানতে চাইলেন, "বাড্ডা থানায় কয়জন মারা গেছে, জানেন নাকি কিছু?"
সেখানে ডিবির একজন এসআই চিৎকার করে বলছিলেন, "হারুন কখনো আমার খোঁজ নেয় নাই। আমরা কী খাই, কেমনে থাকি- কোনোদিন খোঁজ নেয় নাই। অথচ নায়িকারা আইলে ও শেরাটন থেকে খাবার আনায়।"
মিডিয়া সেন্টার পেরিয়ে ডানদিকে মোড় নিয়ে ৩৬ মিন্টো রোড, ডিএমপির সদর দপ্তর। সাজানো গোছানো ঝাঁ চকচকে কার্যালয়ে একটি লোকও নেই। দু-একজন কৌতূহলী মানুষ উঁকিঝুঁকি মারছেন। প্রাঙ্গণে পড়ে রয়েছে সারি সারি গাড়ি।
এর পাশে বেইলি রোডের অফিসার্স কোয়ার্টার, মন্ত্রীদের বাংলোগুলোও ফাঁকা।
২৫ বেইলি রোডে ধর্মমন্ত্রীর সরকারি বাংলার ভেতরে কয়েকজনকে দেখা গেল। কথা বলতে চাই বলে ডাক দিতেই তারা একযোগে দৌড়ে ভবনের পেছনে চলে গেলেন।