পল্টন থানার ৩ মামলায় নথি না থাকায় শুনানি হয়নি।
Published : 18 Feb 2024, 05:55 PM
রাজধানীর তিনটি থানার আট মামলার মধ্যে পাঁচটিতে জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
রোববার শুনানি শেষে তার পাঁচটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সুলতানা সোহাগ উদ্দিন।
পল্টন থানার চারটি, রমনা থানার তিনটি ও বাড্ডা থানার একটি মামলায় দুদুকে গ্রেপ্তার দেখাতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। রোববার দুপুরে সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তারপর জামিন শুনানি হয়।
তাতে পল্টন থানার একটি, রমনা থানার তিনটি ও বাড্ডা থানার একটি মামলায় জামিন পান দুদু। এছাড়া পল্টন থানার তিন মামলায় নথি না থাকায় এদিন শুনানি হয়নি।
তার জামিন আবেদন শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
জানতে চাইলে মেজবাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুদুর আরো দুই মামলার জামিন শুনানি হাই কোর্টে অপেক্ষায় রয়েছে। আর এখানে রইল তিনটি।”
জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় আরও ডজনখানেক যানবাহনে। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।
সংঘাতের এক সপ্তাহ বাদে ৫ নভেম্বর রাতে ঢাকায় বোনের বাসা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ সদস্য হত্যার অভিযোগের মামলায় বিএনপির এ নেতাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পেয়েছিল পুলিশ।
এরপর ২৭ নভেম্বর পুলিশের পিস্তল ছিনতাই ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে আরও ২ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
২৮ অক্টোবরের সংঘাতের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ প্রায় সব নেতা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের বর্জনের মধ্যে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগ ২২৪টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি, কল্যাণ পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসন পেয়েছে।
পুরনো খবর
বিএনপির দুদু ও স্বপন ২ দিনের রিমান্ডে