“অভ্যুত্থানে সক্রিয় অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই,” বলেন জোনায়েদ সাকি।
Published : 01 Oct 2024, 07:33 PM
দেশের আট বিভাগীয় শহর ও নারায়ণগঞ্জে গণসংলাপের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে করণীয় ঠিক করতে’ আগামী ৪ অক্টোবর থেকে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে দলটি।
কর্মসূচি অনুযায়ী ৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ, ১৭ অক্টোবর বরিশাল, ১৮ অক্টোবর খুলনা, ১৯ অক্টোবর রাজশাহী, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ২৬ অক্টোবর রংপুর, ১ নভেম্বর সিলেট, ২ নভেম্বর ময়মনসিংহ এবং ২৯ নভেম্বর ঢাকায় গণসংলাপ হবে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার হাতিরপুলে গণসংহতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “এই অক্টোবর মাস থেকে আমরা মানুষের ভেতরে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের যে চাহিদা তৈরি করেছে, রাষ্ট্রকে সংস্কার করে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তার জন্য জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গণংলাপ আয়োজন করেছি।
“আমরা অভ্যুত্থানে সক্রিয় অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।”
গণসংহতির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। দলের পঞ্চম সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার থেকে সদস্য সংগ্রহ কার্য্ক্রমেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ হবে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিশ্চিত করা, আহতদের সম্ভাব্য সব ধরনের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার করা।
“ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হবে প্রথম পদক্ষেপ। এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আমরা আরও সুনির্দিষ্ট, দ্রুত ও স্বচ্ছ করার এবং জনগণের কাছে তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে পোশাক শ্রমিক আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগও করা হয়। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিচার দাবি করে বলা হয়, “শ্রমিক আন্দোলনের ভেতরে কেউ যাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে, সেই বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। তাই বলে শ্রমিক আন্দোলন দমন করতে গিয়ে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের পুরনো রীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
“আমরা মনে করি, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সহানভুতিশীল থেকেই বর্তমান পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে যেতে হবে।”
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলিফ দেওয়ান, মিজানুর রহমান মোল্লা, মনিরুল হুদা বাবন উপস্থিত ছিলেন।