“সত্যের কাছাকাছি থাকলে মানুষ প্রতিবাদ করে। ‘আজগুবি’ গল্পের তো একটা সীমা থাকা দরকার”, বলেন তিনি।
Published : 30 Nov 2024, 10:06 PM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে সেনানিবাসে সভা করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা এক ইউটিউবারের আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, “কল্পনারও একটা সীমা থাকা উচিত।”
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘স্মৃতির মিনার: গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, “একটা ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে অগাস্টের ৩-৪ তারিখ রাতে আমি নাকি ক্যান্টনমেন্টে (সেনানিবাসে) ছিলাম। সেখানে আর্মি অফিসারদের নিয়ে ‘ভারতের দালালদের’ সঙ্গে মিটিং করেছি। আমি অবাক হয়ে যাই! মানুষের কল্পনারও একটা সীমা থাকা উচিত।”
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদসহ অন্যদের সঙ্গে ৩ অগাস্ট রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার কথা জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, “রাত ৯টা পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের ১৯ নম্বর বিল্ডিংয়ে ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোস্তফা মামুনের বাসায় থেকেছি। আশঙ্কা ছিল, আমাকে মেরে ফেলবে, না হলে গ্রেপ্তার করবে।
“আর ৪ অগাস্ট সন্ধ্যার পর অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের একটি প্রোগ্রামে আমি অংশ নিয়েছি। সেটার অডিও আপনারা অনেকেই শুনেছেন। যেখানে আমি বলেছিলাম, ‘আমাদেরকে মেরে ফেলতে পারে। কারণ, সবাই আমাদেরকে বলছে পালিয়ে যেতে।’ তারপর সেদিন রাতেও ঢাবি শিক্ষক মোস্তফা মামুনের বাসায় ছিলাম। সবকিছুর একটা সীমা আছে।”
আসিফ নজরুল বলেন, “আমাকে যখন কেউ বলে আপনি ক্লিয়ার করেন (অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দেন)। আমি বলি, আমি কী ক্লিয়ার করব?
“সত্যের কাছাকাছি থাকলে মানুষ প্রতিবাদ করে। ‘আজগুবি’ গল্পের তো একটা সীমা থাকা দরকার। অবশ্য এমনটি শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, কার ক্ষেত্রে হচ্ছে না বলেন। সবার ক্ষেত্রেই কমবেশি হচ্ছে।”
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, লেখক ও সম্পাদক রাখাল রাহা, কবি ও অ্যাক্টিভিস্ট ফেরদৌস আরা রুমী, বাসস পরিচালনা বোর্ডের সদস্য আনোয়ার আলদীন ও নূরে আলম মাসুদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন মাহবুব মোর্শেদ।