খুলল এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি র‍্যাম্প, পুরোটা ‘আগামী বছর’

এই র‌্যাম্প দিয়ে উত্তরা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা গাড়ি মগবাজার, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 06:38 AM
Updated : 20 March 2024, 06:38 AM

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার (এফডিসি) অংশে নামার সংযোগ সড়ক বা ডাউন র‌্যাম্প যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার সকালে এই র‍্যাম্পে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, " গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন কারওয়ান বাজার র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার।“

এক্সপ্রেসওয়ের ৩১টি র‌্যাম্পের মধ্যে এ নিয়ে ১৬টি চালু হল। এই র‌্যাম্প দিয়ে উত্তরা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা গাড়ি মগবাজার, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে। বুধবার থেকেই এ অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।

ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ছয় মাস আগে উদ্বোধন হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী বছরের মধ্যে পুরোটা চালু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন কাদের।

তিনি বলেন, "এই প্রকল্প এই বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছর শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারব। এরপর হাতিরঝিলের র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।"

রোজার মাসে রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণে নতুন কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, "রমজানে মানুষ ঈদ ভারাক্রান্ত হয়। শপিংমলে যায়। যানজট একটু থাকবেই। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত তো যানজট হচ্ছে না। মানুষ কম সময়ে যাচ্ছে। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আছে। আস্তে আস্তে ঠিক হবে। একসাথে সব হবে না তো।"

কাদেরের মন্ত্রিত্বকালের এক যুগেও সড়কে লক্করঝক্কর বাসের চলাচল বন্ধ হয়নি কেন, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, "আমি মন্ত্রী, আমি তো বাস ঠিক করব না। এই বাস বন্ধ করলে আপনারা (সাংবাদিক) আগে রাস্তায় নামবেন। বলবেন জনগণকে কষ্ট দেয়।

“১২ বছরে তো আমরা কম কাজ করিনি। পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে। ১২ বছরের কথা এনে অপবাদ কেন দিচ্ছেন। এই মন্ত্রণালয়ের আওতায় কত কাজ হয়েছে। সব হবে, একটু সময় দেন।"

বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সড়ক মন্ত্রীর ভাষ্য, "এই একটা প্রকল্প দেরি হয়েছে। এটাও হয়ে যাবে।"

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ খুলে দেওয়া হয়। ওই অংশে সব মিলিয়ে ১৫টি র‌্যাম্প ছিল। এবার খুলল ষোড়শ র‌্যাম্প।

মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান ছাড়া অন্যান্য সব যানবাহন নির্দিষ্ট হারে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে পারে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সাধারণ যাত্রীদের জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে বিশেষ বাস সেবাও চালু করেছে।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি ব্যয়ের মধ্যে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন ১৫ শতাংশ দিচ্ছে।

Also Read: এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি র‌্যাম্প খুলছে

Also Read: এক্সপ্রেসওয়ে: ৪০ টাকায় বাসে চেপে ফার্মগেট থেকে উত্তরা

Also Read: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী