৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দিতে গত ২৮ নভেম্বর এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
Published : 21 Jan 2025, 06:22 PM
৪৭তম বিসিএসে পরীক্ষায় অংশ নিতে অনলাইনে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
৩০ জানুয়ারি এ বিসিএসের আবেদন জমার শেষ দিন থাকলেও আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার বিকালে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন জমার শেষ সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
“এ সময়ের মধ্যে আবেদন করে ইউজার আইডি পাওয়া প্রার্থীরা ২ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।”
তিনি বলেন, আবেদন জমার সময় বাড়ায় এ সময়ের মধ্যে বিসিএসের যোগ্যতা অর্জনের কোনো পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে পিএসসির পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদনগ্রহণ শুরু করে পিএসসি। http://bpsc.teletalk.com.bd/ ওয়েবসাইট থেকে বিসিএসের আবেদন ফরম পূরণ করতে পারছেন প্রার্থীরা।
৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দিতে গত ২৮ নভেম্বর এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর বয়সী প্রার্থীরা ৪৭তম বিসিএসে আবেদন করতে পারছেন।
নম্বর ও ফি কমিয়ে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু
৭০০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করে এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও পরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রার্থীরা ৫০ টাকা ফি দিয়ে এ বিসিএসে আবেদন করতে পারছেন। একইসঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ এর পরিবর্তে ১০০ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে। পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ, সময় ও নির্দেশনা যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরীক্ষা সময় হবে ২ ঘণ্টা। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর করে পাবেন প্রার্থীরা। আর ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।