যে যুগ্ম সচিবের অভিযোগের ভিত্তিতে নওগাঁয় আটক হওয়ার পর র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছেে, সেই মামলায় আরেকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আল আমিন (৩২) ওই যুবককেও র্যাবই গ্রেপ্তার করেছে। তাকে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৩ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
যুগ্ম সচিব এনামুল হকের করা মামলায় আসামির তালিকায় আল আমিনের নাম রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই যুবক নওগাঁয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট এবং ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নামে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকদের সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে র্যাব দাবি করেছে।
যুগ্ম সচিব এনামুল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত। তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে।
আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাতে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।
জেসমিনকে আটকের পর তাকে ও আল আমিনকে আসামি করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।
এদিকে র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। পরিবারের অভিযোগ, র্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব বলছে, ৪৫ বছর বয়সী ওই নারীকে আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এনামুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে তার সম্মুখেই জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল জানিয়ে র্যাব বলছে, প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা জেসমিন স্বীকারও করেছিলেন।
এদিকে র্যাব হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায় হাই কোর্ট জেসমিনের লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব করেছে। র্যাবের কে কে জিজ্ঞাসাবাদে ছিল, তাও জানতে চেয়েছে।