এছাড়া সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ ৬ জনতে দুদকে তলব করা হয়েছে।
Published : 03 Sep 2024, 08:35 PM
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মুনসুরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের সঙ্গে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের দুর্নীতির অভিযোগও অনুসন্ধান করবে দুদক।
মঙ্গলবার কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্যে প্রাথমিক সত্যতা থাকায় কমিশন তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুদক সূত্র জানা যায়, দুর্জয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আরিচা নৌ-টার্মিনালের কাছে বিআইডব্লিউটিএর জমি দখল করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈকন্ঠপুর, ঘিওর, মানিকগঞ্জে ১২ বিঘা জমি, মানিকগঞ্জ শহরে এক তলা বাড়ি, বিভিন্ন ব্যাংকে ও ব্যবসায় বিনিয়োগসহ দুর্জয়ের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, তিন কোটি টাকা মূল্যের একাধিক গাড়ি, দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদকে গোয়েন্দা দল।
রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
তাছাড়া রাজশাহী, ঢাকা ও গাজীপুরে কৃষি ও অকৃষিজমিসহ তার পরিবারের নামে মোট সাড়ে ২৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
অন্যদিকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলে তমাল মুনসুরের বিরুদ্ধে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ১৭৫ কোটি টাকার সরকারি ক্রয়ে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় রিয়েল এস্টেট বিজনেস, জ্যামাইকার আফতাব স্কাই ভিউ কনডোমোনিয়াম টাওয়ারে ১২টি অ্যাপার্টমেন্ট ও চারটি পার্কিং স্পেস ক্রয় ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ছয় সাবেক এমপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
এদিকে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান ও কাশিম উদ্দিন আহমেদকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে দুদক।
দুদক গত সপ্তাহ শাজাহান খান ও নুর ই আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায়।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বুধবার দুদকে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য দিতে তলব করা হয়েছে।
তবে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।