“কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের এবং কিছু ক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের কথা ভাবছে স্টারলিংক।”
Published : 09 Mar 2025, 01:49 AM
বাংলাদেশে ‘গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন’ স্থাপনের ব্যাপারে স্টারলিংকের হয়ে কয়েকটি স্থানীয় কোম্পানির কাজ শুরু করার তথ্য দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শনিবার বলেন, বর্তমানে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে রয়েছে।
“এই সফরে বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সহযোগিতার জন্য এখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।”
তিনি জানান, ভূমি বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের মত কার্যক্রম পরিচালনায় এসব সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে। স্টারলিংক টিম এই কাজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করেছে।
“এর মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমি এবং কিছু ক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের কথা ভাবছে স্টারলিংক।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “স্টারলিংক শহরে কিংবা প্রান্তিক অঞ্চলে, উত্তরাঞ্চল কিংবা উপকূল, লোডশেডিং কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝামেলামুক্ত ইন্টারনেট সেবা দেবে।
“যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত এবং প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে এখনো লোডশেডিং রয়েছে, তাই স্টারলিংক এখানকার উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও এসএমই ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ড ও ডিজিটাল ইকোনমিকে বেগবান করবে।”
তিনি বলেন, “আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটা বোধগম্য মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।“
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা মাস্ককে জানান, এই সফরে মাস্ক বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন, যারা এই প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা তার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
৪ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাইজড সেবার নির্দেশ
ভূমি, বাণিজ্য, এনবিআর ও বিআরটিএ- এই চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের নাগরিক সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিজিটাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই লক্ষ্য অর্জনে মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মপদ্ধতি অটোমেশন করা, শতভাগ ইলেক্ট্রনিক ফাইল ব্যবহার এবং শতভাগ এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং নিশ্চিত করাসহ ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেবা সহজ করতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যকার ডেটার আন্তঃক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
ডেটার আন্তঃক্রিয়াশীলতা এবং ডেটা এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি ফর্ম ফিলাপের পরিবর্তে সিকিউর এপিআইয়ের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদানের উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, কিছু মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে তিন মাসের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।