“যে কোনো মানবিক প্রচেষ্টার কথাই আপনি বলুন না কেন, তার প্রতিটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ,” বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
Published : 04 Apr 2024, 10:21 PM
বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচার চললেও দুদেশের সম্পর্ক ‘প্রাণবন্তই থাকবে’ বলে মনে করছে দিল্লি।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে এমন উত্তর দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রানধির জেসওয়াল।
বাংলাদেশে ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। পাশাপাশি এটি ভারতের পণ্য রপ্তানিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, সেই প্রশ্ন রেখেছিলেন।
উত্তরে রানধির জেসওয়াল বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ মজবুত ও গভীর। অর্থনীতি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বিস্তৃত সব ক্ষেত্রে আমাদের খুব সমন্বিত অংশীদারত্ব রয়েছে।
“যে কোনো মানবিক প্রচেষ্টার কথাই আপনি বলুন না কেন, তার প্রতিটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অংশীদারত্ব এমনই প্রাণবন্ত এবং এমনটাই অব্যাহত থাকবে।”
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলে আসছেন।
এ নিয়ে প্রতিদিনই শত শত পোস্ট আসছে ফেইসবুকে। এর মধ্যে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দলের সমর্থন জানিয়ে তার গায়ে থাকা কাশ্মীরি শাল আগুন ছুড়ে ফেলেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা পরে দাবি করেন, এ বিষয়ে দলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, স্থায়ী কমিটিতে আলোচনাও হয়নি। রিজভী এই কাজ করবেন, সেটাও জানা ছিল না তাদের।
তবে পরে নয়া পল্টনে বিএনপির আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশেও ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ব্যানার দেখা যায়।
বিএনপির এসব কর্মসূচির সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে ফেলেন, তাহলেই তাদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়টি ‘বিশ্বাসযোগ্য হবে’।
২৭ মার্চ এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পুড়াল। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? আমি জানি, ঈদের আগে দেখি বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত।”