১.
আমার শিরার চেয়ে এমন প্রবাহ
কোথায় তুমি পাবে
একা, অন্যমনস্কতায় বন্দি হয়ে
পানিও নিজেকে পাথর করে দিতে পারে
শুনব বলে দেয়ালও আমর্ম ডুবে ছিল
এখন আমাকে জন্ম দাও, জাহাজের কাপ্তান,
অগ্রাহ্য করি তোমার যত প্রতিকূল
২.
আমি ঘুমাতে গেলে চোখের পাতায় উঠে বসো
তোমরা দু-বোন
পিঠের নিচে হিটারের তীব্র কয়েল বিছিয়ে
বলব তোমাদের, বলবই, জলের উৎস রয়েছে
রয়েছে নুহের নৌকার পাটাতন
আমার মাংসমেদ ফুঁড়ে বাষ্প ওঠা দেখে
তোমরা উল্লাস করো : এ-ও এক রন্ধনশালা
৩.
আমাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে একটি বাস, লোকাল ৬; মাঠের ঘাসও সে করে গেছে ব্যবহৃত,
মরিচায় ভাঙা ছিল তার আমর্ম লোহা
কেবল ইঙ্গিতপ্রবণ বাতিগুলো নিয়ে দাঁড়াতে পারে কৃষ্ণচূড়া ফোটার আগে
সে এখনো চলে, চলবেও, গুলিস্তান মতিঝিল পেরিয়ে
কেবল সে জানে তার হৃদয় তার ইঞ্জিনের চেয়েও বেশি নয়
৪.
আমি হতোদ্যম, তুমিও স্থির হও মাছে
এতকাল আমাদের চোখে ছিল তারাদের ফুটন্ত পানি
এখন রাতে ভেজা বালিতে শুয়ে, এসো, নদীকে ছুঁতে দেই আমাদের আঙুল
তুমি স্থির হও, তোমার রুপালি মাংস, কুহক, আমাকে জাগাবে না আর
কেবল আমার শিরদাড়া পুঁতে রাখো শিকারি পাখিদের দুপুরে
৫.
শ্রুতিলেখক। মাত্রই বসেছে, সারাদিনের যত কড়ি ও কোমল : তার এখন শীতরাতের উল্টানো আকাশ;
তাকে পড়েও শোনাই কিছুটা রেস্তোরাঁর চুরমার শব্দের তলায়
এমন নয় যে কোথাও আছে যিশুর প্রসারিত হাত
গোধূলির নীরবতা ছুঁয়ে
কেবল টাইপরাইটারের ফোলা শিরা নিয়ে
সে কাপ থেকে শুষে নেয় কফির রক্ত