নামসর্বস্ব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও তাদের সহযোগীদের কালো তালিকাভুক্ত করে বই ক্রয়ের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সৃজনশীল প্রকাশকরা।
Published : 30 Oct 2024, 09:48 PM
রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশনা জগতের দুর্নীতিবাজ লুটেরাশ্রেণি ও চিহ্নিত সাপ্লাইবাজ গোষ্ঠী তাদের মূল প্রতিষ্ঠানের বাইরে বই ক্রয়তালিকায় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে দুর্নীতির নতুন চিহ্ন স্থাপনের চেষ্টা করে চলেছে বলে মনে করছে বাংলাদেশে সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।
বুধবার গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনীষ চাকমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এই পর্যবেক্ষণ লিখিত আকারে জানিয়েছেন প্রকাশক সমিতির নেতারা।
নামসর্বস্ব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও তাদের সহযোগীদের কালো তালিকাভুক্ত করে বই ক্রয়ের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সৃজনশীল প্রকাশকরা।
দুর্নীতিগ্রস্ত লেখক-প্রকাশকের সিন্ডিকেট দ্বারা প্রভাবিত বইক্রয়ের তালিকার পুনরাবৃত্তি সমিতি আর চায় না বলেও জানানো হয়।
প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রিদম প্রকাশনার স্বত্তাধিকারী মো. গফুর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাঠ্যাভ্যাস বৃদ্ধি, বইপ্রেমীদের কাছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বই সহজলভ্য করা, নীতিমালা ও আইনগত সংস্কারসহ নানা বিষয়ে প্রকাশকরা মতামত তুলে ধরেছেন। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য জানানো হয়েছে।”
সমিতির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বাংলাদেশে নিয়মিতভাবে সৃজনশীল প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই থেকে আড়াইশো হলেও আমরা জানতে পেরেছি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে বই ক্রয়ের জন্য ৬ শতাধিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বইয়ের তালিকা জমা হয়েছে। এরইমধ্যে বই ক্রয়ের জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।”
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘদিনের শাসনামলে সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা জগত একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছিল বলেও জানান প্রকাশকরা।
সমিতির ভাষ্য, “অসংখ্য প্রকাশক ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত বইক্রয় থেকে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিশেষায়িত প্রকল্পেও এইসব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বইয়ের ক্রয়তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।”
সভায় সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন সানু (লাবনী প্রকাশনী), সাধারণ সম্পাদক মো. গফুর হোসেন (রিদম প্রকাশনা), মো. জহির দীপ্তি (ইতি প্রকাশন), দীপংকর দাশ (বাতিঘর), মো. আইনুল হোসেন (এএইচ ডেভলপমেন্ট পাবলিশিং), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (শোভা প্রকাশ), মাশফিক উল্লাহ তন্ময় (স্টুডেন্ট ওয়েজ), আবু বকর সিদ্দিক রাজু (স্বরে-অ), রাজ্জাক রুবেল (গ্রন্থিক), স্বপন কুমার দত্ত (জোৎস্না পাবলিশার্স), মো. সায়ফুল্লাহ খান (নূর কাসেম পাবলিশার্স)।