এমএইচ১৭ ফ্লাইট গুলি করে ভূপাতিত করার পেছনে যাদের হাত আছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করতে চায় মালয়েশিয়া।
Published : 03 Jul 2015, 08:27 PM
২০১৪ সালের জুলাই মাসে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং এর ২৯৮ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারায়।
বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয় তখন এটি পূর্ব ইউক্রেইনের রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল।
তখন অভিযোগ উঠেছিল, ইউক্রেইনের বিদ্রোহীরা বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বিমানটি ভূপাতিত করেছে। যদিও বিদ্রোহী নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জুলাইয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট নিউজিল্যান্ডের গেরার্ড ভন বোহেমেন বলেন, “মালয়েশিয়া আজ(শুক্রবার) এক ব্রিফিংয়ে এমএইচ১৭ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা পেশ করার ব্যাপারে তাদের অভিপ্রায়ের কথা নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেরকে জানিয়েছে।”
“বিমানটি ভূপাতিত করার পেছনে যারা জড়িত তাদের জবাবদিহিতা করাতে একটি পদ্ধতি বের করার চেষ্টায় আছে তারা।”
বিবিসি জানায়, মালয়েশিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও ইউক্রেইনও যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বোহেমেন।
ওদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাবটি আগেভাগে দেয়া হয়েছে এবং এটি ‘সময়োচিত নয়’ বলে বর্ণনা করেছে রাশিয়া।
কূটনীতিকরা আরো বলেন, রাশিয়া মনে করে বিমানটির বিষয়ে চলমান তদন্তের ফলাফলের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অপেক্ষা করা উচিত।
বিধ্বস্ত এমএইচ১৭ এর অধিকাংশ যাত্রী নেদারল্যান্ডসের নাগরিক ছিলেন। এছাড়া, যাত্রীদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরাও ছিলেন।
বর্তমানে বহুজাতিক তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস। রাশিয়ার তদন্ত দলও আলাদাভাবে ঘটনাটি তদন্ত করছে।
অভিযোগ আছে, রাশিয়াই ইউক্রেইনের বিদ্রোহীদের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।
যদিও রাশিয়া এ অভিযোগে অস্বীকার করে বলেছে, বিদ্রোহীরা নয় বরং ইউক্রেইনের সরকারি বাহিনীই বিমানটি ভূপতিত করেছে।
নেদারল্যান্ডসের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রচণ্ড গতির কোনো বস্তুর’ আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।