আকাশ নীল হয় বা কখনো ঘোলাটে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশের আকাশ রক্তের মত টকটকে লাল হয়ে গেছে।
Published : 23 Sep 2019, 08:48 PM
সেখানকার বাসিন্দা ইকা ওলান্দারি আকাশের কিছু ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট করার পর তা ৩৪ হাজার বারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
মূলত ইন্দোনেশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের কারণে বাতাসে ধূলা, ছাই এবং অন্যান্য বস্তুকণিকা মিলে এই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
জাম্বির মেকার সারি গ্রামের বাসিন্দা ওয়ালান্দারি শনিবার দুপুরে ওই ছবিগুলো পোস্ট করেন বলে সোমবার জানায় বিবিসি। ওইদিন ধোঁয়াশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ছিল বলে দাবি ওলান্দারির।
প্রতিবছর ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলে দাবালনের কারণে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।
একজন আবহাওয়াবিদ বিবিসি’কে বলেন, যে কারণে আকাশের এই অবস্থা হয় সেটা ‘রেইল স্কাটারিং’ নামে পরিচিত।
২১ বছরের ওলান্দারি ছবিগুলো ফেইসবুকে পোস্ট করার পর অনেকেই সেগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে বিবিসি’কে জানান তিনি।
Ini sore bukan malam. Ini bumi bukan planet mars. Ini jambi bukan di luar angkasa. Ini kami yang bernafas dengan paru-paru, bukannya dengan insang. Kami ini manusia butuh udara yang bersih, bukan penuh asap.
Lokasi : Kumpeh, Muaro Jambi #KabutAsap #KebakaranHutanMakinMenggila pic.twitter.com/ZwGMVhItwi
— Zuni Shofi Yatun Nisa (@zunishofiyn) September 21, 2019
সোমবার তিনি বলেন, “এটি সত্যি….। আমি আমার ফোন দিয়ে যে ছবি ও ভিডিও তুলেছি তা সম্পূর্ণ বাস্তব। আজও এখানে মারাত্মক ধোঁয়াশা রয়েছে।”
ভূ উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে জাম্বি অঞ্চল জুড়ে ঘন ধোঁয়া আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমকেজি)।
“ছবিগুলো দুপুর বেলা তোলায় আকাশ আরো বেশি লাল মনে হচ্ছে। সূর্য যখন মাথার উপর থাকে তখন যদি আপনি আকাশের দিকে তাকান তবে আলোর লম্বা লম্বা রশ্মি দেখতে পাবেন। এটার কারণেই আকাশ অনেক বেশি লাল দেখাচ্ছে।”
তবে এ কারণে বাতাসের তাপমাত্রায় কোনো তারতম্য হবে না বলেও জানান তিনি। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি ধোঁয়াশার সষ্টি হয়েছে।