সম্পর্কে বাধা দূর করতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা

ছবি: রয়টার্স।

গুপ্তচর বেলুন নিয়ে অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের কথার লড়াইয়ে অবনতি হওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে এবার অগ্রসর হয়েছে দুই দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এ সপ্তাহে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এর সঙ্গে।

বৈঠকে দুই পক্ষই সম্পর্ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

বুধ ও বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় জ্যাক সুলিভান এবং ওয়াং ই’র ৮ ঘন্টার বৈঠক বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে আরও যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করবে বলে হোয়াইট হাউজ আশা প্রকাশ করেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

ওদিকে, ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস বলেছে, “চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বাধা দূর করা এবং সম্পর্ককে অবনতির দিকে যেতে না দিয়ে বরং স্থিতিশীল রাখতে দুইজনই (সুলিভান এবং ই) খোলাখুলিভাবে নিবিড়, বস্তুনিষ্ঠ এবং ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, সুলিভান এবং ওয়াং ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের বেইজিং সফরের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা করেননি। তবে বলেছেন, আগামী মাসগুলোতেও দুই পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে হোয়াইট হাউজ আশা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন। তবে সে চেষ্টা সফল হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওই মার্কিন কর্মকর্তা।

গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের একটি গুপ্তচর বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনী সেটি গুলি করে নামানোর পর বেইজিংয়ে ব্লিনকেনের সফরের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। বেলুনের ঘটনাটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে সংকট দেখা দেয়।

বেলুনের ওই ঘটনা নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নে মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “আমি মনে করি দুই পক্ষই স্বীকার করেছে যে, ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগে কিছুটা ব্যত্যায় ঘটিয়েছে। আমরা এখন ওই ঘটনাকে পেছনে ফেলে এগুনো এবং যোগাযোগের স্বাভাবিক চ্যানেল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছি।”