জার্মান ক্লাবটির হয়ে ১০০ গোলের মাইলফলকে চোখ রেখে ফিরছেন টিমো ভেরনার।
Published : 10 Aug 2022, 02:49 PM
দুই বছর আগে একরাশ প্রত্যাশা নিয়ে টিমো ভেরনারকে দলে টানলেও চাওয়া পূরণ হয়নি চেলসির। তাই জার্মান ফরোয়ার্ডকে ছেড়ে দিল তারা। ইংলিশ ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে আবারও লাইপজিগে ফিরলেন ভেরনার।
উভয় ক্লাবই মঙ্গলবার আলাদা বিবৃতিতে ২৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের দলবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ট্রান্সফার ফি নিয়ে কোনো পক্ষ থেকেই কিছু জানানো হয়নি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর, আড়াই কোটি পাউন্ডে ভেরনারকে দলে ফেরাল লাইপজিগ। ২০২০ সালের জুনে প্রায় সাড়ে চার কোটি পাউন্ড খরচ করে তাকে কিনেছিল চেলসি।
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ও সেরা সময়টা ভেরনার কাটিয়েছেন লাইপজিগে। ২০১৬-২০ পর্যন্ত সেখানে খেলে ক্লাবটির হয়ে রেকর্ড ৯৫ গোল করেন তিনি।
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর লাইপজিগের অল্প সময়ে জার্মান ফুটবলে বড় মাপের দল হয়ে ওঠার পেছনে বড় অবদান ছিল ভেরনারের। তাকে আবারও ফিরে পাওয়াটা দলের জন্য বিশেষ কিছু, বললেন ক্লাবটির স্পোর্ট ডিরেক্টর ফ্লোরিয়ান স্কোলজ।
“আমরা…টিমোর ক্লাবের রেকর্ড গোলদাতা হওয়া ও জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক দেখেছি। তার এখানে ফেরা সমর্থকদের জন্য অনেক কিছু, কারণ টিমো সমর্থকদের মাঝে খুব জনপ্রিয় এবং অনেকের কাছে সে এই ক্লাবের প্রতীকি।”
২০১৭ সালের কনফেডারেশন্স কাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জার্মানির জয়ের ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখেন ভেরনার। হয়ে ওঠেন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। জার্মানির হয়ে এখন পর্যন্ত ৫০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
প্রিয় ও চেনা ঠিকানায় ফিরতে পেরে ভেরনারও খুব খুশি।
“লাইপজিগের হয়ে আবারও খেলতে পারব ভেবে খুব ভালো লাগছে। এখানে আমার দারুণ সময় কেটেছিল…যখন আমরা বুন্ডেসলিগায় নবাগত হিসেবে দুর্দান্ত খেলেছিলাম।”
“নতুন মৌসুমে লাইপজিগের হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি, সর্বোপরি লাইপজিগ সমর্থকদের সামনে দাঁড়াতে, আমার কাছে যারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে চাই, এবং অবশ্যই লাইপজিগের হয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ গোলের মাইলফলক ছুঁতে চাই।”
গত দুই মৌসুমে সময়টা আশানুরূপ না কাটলেও স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটির হয়ে ভেরনারের অর্জন নেহাৎ কম নয়। চেলসির হয়ে ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জেতেন তিনি।