বগুড়ার ‘কারাগারে বসে’ শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারের মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
Published : 20 Aug 2017, 11:10 PM
রোববার রাজশাহীর ডিআইজি (প্রিজনস) আলতাফ হোসেন এ কথা জানান।
বগুড়া কারাগারে থাকা অবস্থায় তুফান সরকারকে ফেনসিডিল সরবরাহ করা, বাইরে থেকে তার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া, সহযোগীসহ তুফান সরকারের কারা হাসপাতালে থাকা এবং ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরীর সঙ্গে কারাগারের দর্শনার্থী কক্ষে তুফানের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার খবর গণমাধ্যমে এসেছে।
এরপর তুফান সরকারকে শনিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হাই সিকিউরিটি সেলে পাঠানো হয় এবং ঘটনাটি তদন্তে রাজশাহীর ডিআইজি (প্রিজনস) আলতাফ হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয় বলে জানিয়েছিলেন বগুড়ার জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন।
ডিআইজি আলতাফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কারাগারে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তে আইজির নির্দেশে বগুড়া এসেছি। প্রত্যক্ষদর্শীসহ অনেকের সাথে কথা বলেছি। তাদের কথা শুনেছি ও লিখিত বক্তব্য নিয়েছি।
“অধিকতর তদন্তের জন্য আরও কিছু প্রয়োজন হলে তাও করা হবে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রেরণ করবো।”
প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে কোনো দিনক্ষণ জানাননি তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বর্তমান বহিষ্কৃত)তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেন।
ধর্ষণ ও মাথা মুণ্ডনের ঘটনায় ওই কিশোরীর মায়ের করা মামলায় তুফান সরকার ও তার স্ত্রী আশাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।