ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
Published : 14 Oct 2020, 10:30 PM
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিশ্রুতি কমিটিরে বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বৈঠকে সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এ ছাড়া রিজার্ভ চুরি ও মুদ্রা পাচার রোধে যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দুর্নীতি রোধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রতি তদারকি জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে চলতি ২০২০ সালের জুন মাস শেষে দেশের ৫৯টি ব্যাংক মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এরমধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা।
মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। খেলাপির পরিমাণ ছিল ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।
গত বছরের ডিসেম্বরে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপির অঙ্ক ছিল ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চ মাস শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। ওই সময়ে বিতরণ করা ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা ঋণের ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল খেলাপি।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপজেলা পর্যায়ে ও গ্রোথ সেন্টার লেভেলে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে দক্ষ জনবল বৃদ্ধিসহ দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করে।
কমিটির সভাপতি মো. আলী আশরাফের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুজিবুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও আবদুল মান্নান অংশ নেন।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।