শীতের শেষে সবজির বাজারে স্বস্তি বেড়েছে আরও। তবে চাল, ডাল, চিনি ও লবণের মতো কিছু নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সে স্বস্তি উপভোগ করতে পারছেন না ক্রেতারা।
Published : 05 Feb 2016, 06:43 PM
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজিই এখন গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, এখন আলু, পেঁয়াজ, টমোটো ও বেগুনের ভরা মৌসুম। তাই এগুলোর দামও অনেক কম।
আবার ফুল ও বাঁধা কপির মৌসুম শেষ দিকে। চাষীরা তাদের ক্ষেতে নতুন ফসল ফলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন; তাই একসঙ্গে সব সবজি তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন। এতে সরবরাহ বেড়ে দাম কমেছে।
মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠলেও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন আলু মান ভেদে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সুপার শপ ‘স্বপ্ন’ আলু বিক্রি করছে ৮ টাকা কেজিতে।
আলুর দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন গোপীবাগ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মহসীন আলী।
এদিন প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২২ থেকে ২৫ টাকায়। বছরের একটা বড় সময় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এই নিত্যপণ্য।
এখন টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। শীত ছাড়া সারা বছর ভারতীয় টমেটো ৯০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গোপীবাগ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মহসীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন বাজারে প্রচুর মাল আসছে, দাম কম। কয়েকদিন পরে যখন মাল থাকবে না তখন দাম বাড়বে। টমেটো, কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি হয়। কিন্তু দেশে এত টমেটো হচ্ছে সেগুলো রাখার ব্যবস্থা নেই।
তিনি মনে করেন, কাঁচামাল ছয় মাসও রাখার ব্যবস্থা থাকলে উৎপাদক ও ভোক্তা সবাই উপকৃত হতো।
শুক্রবার বেগুনের দামও কমে প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় নেমেছে। মূলার দাম কমে বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে।
ফুল ও বাঁধা কপি আকার ও মান ভেদে ১২ থেকে ২০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে। সিমের দাম কিছুটা বেড়ে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
তবে রসুনের দাম বেড়েছে। দেশি রসুন গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
এক মাসের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে প্রায় ২৫ টাকা বেড়ে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে শুক্রবার। দেশি ডাল বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আকবর হোসেন।
এদিকে চিনির দাম বেড়েই চলেছে। প্রতিকেজি খোলা চিনি বর্তমানে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও সর্বোচ্চ ৪৮ টাকায় পাওয়া গেছে চিনি।
লবণের দাম এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২৫ শতাংশ। কোম্পানি ভেদে প্যাকেট লবণ ২৫ থেকে ৩২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এদিন।