রোহিঙ্গা সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্যাতিত এ জনগোষ্ঠীকে নিজ ভূমিতে ফেরানোর পরিবেশ তৈরির কার্যক্রম জোরদার করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের দুই কার্যালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওম।
Published : 17 Oct 2017, 01:19 PM
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় ইউএনএইচসিআর, মানবতাবিষয়ক কাজে জাতিসংঘের সমন্বয়কারী কার্যালয় (ওসিএইচএ) এবং আইওমের যুক্ত বিবৃতিতে সোমবার এই আহ্বান জানানো হয়।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আগামী ২৩ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই তিন সংস্থার আয়োজনে হতে যাচ্ছে ‘প্লেজিং কনফারেন্স’, যার উদ্যোগে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কুয়েত সরকার।
মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানানো হয় ওই যুক্ত বিবৃতি থেকে।
এতে বলা হয়, “রোহিঙ্গাদের অসহায় পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে, দলে দলে দেশান্তরী হওয়া বন্ধে এবং চূড়ান্তভাবে নিরাপদে ও মর্যাদা নিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের আশ্রয় দেওয়া সম্প্রদায়গুলোর সমর্থনে প্রচেষ্টা জোরদার করতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।”
ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, ওসিএইচএর প্রধান মার্ক লওকক এবং আইওএমের প্রধান উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমার থেকে, এর সমাধানও হতে হবে মিয়ানমারেই।
মিয়ানমারে দমন পীড়নের মুখে গত ২৫ অগাস্ট থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আগে থেকে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশে নতুন করে এসব রোহিঙ্গার ভার বহন করতে হচ্ছে।
আগের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে শরণার্থী সংখ্যা উপচে পড়ার পাশাপাশি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বালুখালীতে নতুন ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ঢল অব্যাহত থাকায় সেগুলোতেও চাপ বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় দাতব্য সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সেখানে সহায়তা দিতে কাজ করছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু জরুরিভিত্তিতে আরও বেশি কিছু করা প্রয়োজন।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে রাখায় সরকারের প্রশংসা করা হয় বিবৃতিতে।
এতে রোহিঙ্গাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আগামী ২৩ অক্টোবরের প্লেজিং কনফারেন্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে রোহিঙ্গাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের এবং তাদের (বাংলাদেশের) বোঝা ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।