রোববার সকাল ৮টায় ভোটের শুরুতেই ঢাকার সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটটি দেন শেখ হাসিনা। এ কেন্দ্রে তিনিই ছিলেন প্রথম ভোটার।
ভোট দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বলেন, “নৌকার জয় হবেই। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির জয় হবেই।”
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।”
জয়ের বিষয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী । কারণ আমার জনগণের প্রতি বিশ্বাস আছে।“
বিএনপির বিরুদ্ধে ভোট ঘিরে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক যে, গতকালও আমাদের ৪ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। একই কায়দায় কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই কয়দিনের সহিংসতায় আমাদের প্রায় ১০ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।…নোয়াখালীতে বিএনপি প্রার্থীর নেতৃত্বে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে।”
প্রার্থীদের সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সহিংসতা চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ভোট দেবে। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। আমি মনে করি নৌকার জয় হবেই হবে।”
ভোট দিয়ে বেরিয়ে দুই আঙুল তুলে বিজয়ের চিহ্ন দেখান শেখ হাসিনা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল তার সঙ্গে ছিলেন।