‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়সহ সব ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রোববার সবাইকে নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে নির্বাচন ভবনে স্থাপিত ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন’ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, “ব্যাপক সংখ্যক দল ও সর্বাধিক প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। উৎসবমুখর ভোট হবে এটাই আশা।”
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন, এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম এসময় সিইসির সঙ্গেই ছিলেন।
ভোটের একদিন আগে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রচার শেষ হয়েছে। এখন সবাই ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।
“এখন যারা প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থক, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। কাউকে কোনো রকমে কেউ যেন বাধা দিতে না পারে। যার যার ভোট যেন সে দিতে পারে।”
সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করে সিইসি বলেন, “যাতে করে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে… সকলের জন্য নিরাপত্তা, সকলের জন্য নিরাপদ অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব। দেশবাসী যারা ভোটার, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে… সে ব্যবস্থা আশাই করব।”
প্রধান দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং সাধারণের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার বিষয়ে জানতে চাইলে কে এম নূরুল হুদা বলেন, “অবশ্যই তা ভুল প্রমাণ হবে। আমরা প্রস্তুত, ভোটররা সবাই উৎসবমুখর এবং আনন্দঘন পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ করবে, কোনো উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থাকবে না।”
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে শনিবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
এর আগে ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে তিনি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন।