তার মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহহিয়া চৌধুরীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মফিকুল ইসলাম বাবুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
সাজু পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার (তাহসিনা রুশদীর লুনা) মনোনয়ন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না।”
এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, চলতি বছরের ১ অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তার চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন লুনা। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বা প্রতিরক্ষা পরিসেবা থেকে পদত্যাগ বা অবসরের পর কমপক্ষে তিন বছর পার না হলে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায় না।
“আদালতকে আমি খুব সিরিয়াসলি বলেছি বিষয়টি নিয়ে। তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এ ধারায় পড়ে গেছেন। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না। ২০২১ সালে তিনি নির্বাচনের জন্য যোগ্য হবেন।”
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মহাখালীতে বাসার কাছে ইলিয়াসের খালি গাড়ি পাওয়া যায়। তখন থেকে নিখোঁজ ইলিয়াস ও তার গাড়িচালক আনসার আলী।
সে সময় ইলিয়াস ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। সিলেট জেলা কমিটির সভাপতিও ছিলেন তিনি। লুনা বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য।
বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসন থেকে ২০০১ সালে এমপি হয়েছিলেন ইলিয়াস আলী। নবম সংসদ নির্বাচনে তাকে হারিয়ে ওই আসনের এমপি হন যুক্তরাজ্য ফেরত আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরী।
২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির নেতা ইয়াহিয়া চৌধুরী এ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন। এবারও তিনি মহাজোটের প্রার্থী।
বিএনপি এবার প্রার্থী করেছিল ইলিয়াসের স্ত্রী লুনাকে। নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়নপত্র বৈধতা পেলেও হাই কোর্টে এসে তা আটকে গেল।