একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সালাম বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ করেন।
সালাম তার নির্বাচনী এলাকায় ‘পুলিশি হয়রানির’ অভিযোগ নিয়ে বুধবার দুপুরের পর নির্বাচন ভবনে আসেন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন ওসমান গণি শাহজাহান।
বিকালে তারা ফেরার পথে আইডিবি ভবন এলাকা থেকে পুলিশ শাহজাহানকে আটক করে নিয়ে যায় বলে আব্দুস সালামের দাবি।
ঘটনার পরপরই তিনি আবার নির্বাচন কমিশনে আসেন এবং ইসি সচিবের সাথে দেখা করে শাহজাহানের আটক হওয়ার খবর দেন।
সাংবাদিকদের সালাম বলেন, “শাহজাহানকে আইডিবি ভবনের সামনে নামিয়ে গুলশান যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মোবাইলে জানতে পারলাম, ওকে নিয়ে গেছে। গত পরশু ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারা দিন আমার সাথে থাকার পর যখন বাসায় যাচ্ছিল, তখন তাকেও এভাবে তুলে নিয়ে গেছে। এভাবে যদি চলতে থাকে আমরা নির্বাচনটা করব কী করে?”
ইসি সচিবের সঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, “আমি ফিরে এসে সচিব সাহেবকে বললাম, আপনাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানিয়ে গেলাম, তারপর সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার হল। তাহলে কী নির্বাচন কমিশনও আমাদের জন্য নিরাপদ নয়? তাহলে আমরা কোথায় যাব? নির্বাচন করব? না করব না?
“নির্বাচনের অথরিটি হল কমিশন। উনারা যদি অপারগ হন, বলে দিক যে ‘আপনাদের কোনো নিরাপত্তা আমরা দিতে পারব না। আপনাদের কর্মীদের নামতে নিষেধ করে দেন। হয় নির্বাচন করেন, না হলে কইরেন না’।”
আব্দুস সালাম দাবি করেন, শাজাহানের বিরুদ্ধে ‘পেন্ডিং’ কোনো মামলা নেই। ‘গায়েবি’ মামলা থাকলেও তিনি জামিনে আছেন।
“কিন্তু তারপরও গ্রেপ্তার হল। এই যদি অবস্থা হয়,কর্মীদের কী করে নির্বাচনে নামাব? আমি নিজেও নিরাপদ বোধ করি না। আমি ১০ জন কর্মীকে নিয়ে আসব, চলে যাওয়ার পর দেখব তাদের ৫ জন নেই।”
ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, “আমাদের কর্মীরা কেউ নিরাপদ নয়। এমন অবস্থা হবে যে প্রার্থী হিসেবে আমাকে একা একা মাইক নিয়ে ঘুরতে হবে, ভোট চাইতে হবে। এরপর আমাকেও গ্রেপ্তার করে নেবে কী না সেটাও বুঝতে পারছি না।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সালাম বলেন, তার অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসি সচিব।