সোশাল মিডিয়ায় সার্বক্ষণিক নজরদারির নির্দেশ ইসির

ভোটকে সামনে রেখে ‘গুজব, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র’ ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2018, 01:09 PM
Updated : 26 Nov 2018, 01:09 PM

সোমবার বিকালে মোবাইল ফোন অপারেটর, টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেন, “ভোট নিয়ে প্রপাগান্ডা, গুজব, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বানচাল করার উদ্দেশ্যে ফেইসবুকসহ সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।

“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে থাকবে। ফেইক আইডি থেকে প্রপাগান্ডা করলে চিহ্নিত করে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইসি সচিব জানান, সোশাল মিডিয়া কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে মত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। যারা গুজব ছড়াবে, সহিংসতা ও অপপ্রচার ছড়াবে তাদের বিষয়ে এনটিএমসি, বিটিআরসি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাইবার ক্রাইম ইউনিট মনিটরিং করবে।

ইসিকে জানিয়েই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।

সোমবারের সভায় ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবনসহ সর্বত্র মোবাইল যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি ইন্টারনেটের পূর্ণমাত্রার গতি বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে একাদশ সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, তাতে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা এবং ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করা যাবে।

এরপর ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হলে আনুষ্ঠানিক প্রচারে যেতে পারবেন প্রার্থীরা।

আইন অনুযায়ী তার আগে ভোটের প্রচারের সুযোগ না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, বিশেষ করে ফেইসবুককে নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারে লাগানো হচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, “ফেসবুকে প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ আচরণবিধির আওতায় নেই। প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা; তবে তা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর। এর আগে প্রচারণা চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইসির ব্রিফিংয়ের সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, যুগ্মসচিব (আইন) সেলিম মিয়া, যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।