জাপা কার্যালয়ে অপেক্ষায় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম নিতে দলের প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বনানী কার্যালয়ে ভিড় করেছেন দলের নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2018, 09:37 AM
Updated : 26 Nov 2018, 09:37 AM

সোমবার বিকালে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে, দলটি কোন আসনে কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সাথে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া জাতীয় পার্টি শরিক হিসেবে কতটি আসন পাচ্ছে, তা জানা যায়নি। তবে দলটি মহাজোটের আসনসহ মোট ১৫০টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে বলে জানা গেছে।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেশকটি আসন উন্মুক্ত থাকার আশায় দল ১৫০ আসনে মনোনয়ন দিচ্ছে।”

২৮৬৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রির পর সেখান থেকে ৭৮০ জনকে মনোনয়নের জন্য বাছাই করা হয় দ্বিতীয় ধাপে। তারপর সেখান থেকে ৩০০ প্রার্থীকে বাছাই করা হয় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য।

প্রার্থী নির্বাচনে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করা হলেও তাতে সদস্যদের ভূমিকা ছিল নগন্য। চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে এরশাদ নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলা হলেও দল সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী শফিকুর রহমান সেন্টু বলেন, “আমার আসন থেকে মহাজোট ইতোমধ্যে সাদেক খানের নাম ঘোষণা করেছে। আমার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। দেখি বিকালের পর দল কোন থিসিস দেয়। সেই থিসিস অনুযায়ী আমাদের সামনে পথ চলতে হবে।”

নওগাঁ-৩ আসনে (বদলগাছি-মহাদেবপুর) প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দলের যুগ্ম-মহাসচিব মো. তোফাজ্জ্বল হোসেন বলেন, “এলাকায় জাতীয় পার্টির অবস্থান খুব ভালো ছিল। এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেউ আমাদের হারাতে পারত না। এখন অপেক্ষা করছি, আসনটি যদি উন্মু্ক্ত রাখা হয়।”

তিনি ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে জাপার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এনাম জয়নাল আবেদীন বলেন, “তিনজন থেকে বাছাই করে দল আমাকেই শেষ পর্যন্ত মনোনীত করেছে। যদিও আমার আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়ে গেছে। আসনটি উন্মুক্ত থাকলে সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপির সাথে জাতীয় পার্টির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।”

এদিকে চেয়ারম্যান এরশাদ যে তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী, তার দুটি ঢাকা-১৭ এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে এরশাদের জন্য মনোনয়ন চাওয়া হলেও সেখানে গোলাম দস্তগীর গাজীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আসনটি নিয়ে দেন-দরবার করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন দলটির বেশকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।

দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের পটুয়াখালী-১ আসনটিতেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে। আসনটি যেন উন্মুক্ত রাখা হয় তার জন্য জাপা চেষ্টা করবে।

এছাড়াও ঢাকা-১ আসনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলামের আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে।

চট্টগ্রাম-৯ আসনে গতবারের সাংসদ ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলুর আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে।

মহাজোট প্রার্থী দেওয়ার পর এসব আসন থেকে জাপা মনোনয়ন দেবে কিনা- তার জবাব মেলেনি নেতাদের কাছে।