ভোটের পোস্টারে খালেদার ছবিতে ‘বাধা নেই’

দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে প্রশ্নের মীমাংসা এখনও হয়নি; তবে দলীয় প্রার্থীদের পোস্টারে তার ছবি থাকলে তাতে আপত্তির কিছু দেখছে না নির্বাচন কমিশন।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2018, 04:40 AM
Updated : 20 Nov 2018, 04:40 AM

বাংলাদেশের নির্বাচনী আইনে সংসদ নির্বাচনের পোস্টারে প্রতীক, প্রার্থী ও দলীয় প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি রাখার সুযোগ নেই।

খালেদা জিয়া ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত হলেও বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টারে তার ছবি ব্যবহারে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি কোনো রাজনৈতিক দল মনে করে যে, দলীয় প্রধানের ছবি রাখবে, সেটা রাখতে পারেন। আইনে এটা কিন্তু সেভাবে বর্ণনা করা নাই।”

সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালার ৭ এর ৩ উপবিধিতে বলা হয়েছে- প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারের পোস্টার হবে সাদা-কালো রঙের। আয়তন হবে অনধিক ৬০ সেন্টিমিটার বাই ৪৫ সেন্টিমিটার। ব্যানারও হতে হবে সাদা-কালো রঙের। আয়তন হবে অনধিক ৩ মিটার বাই ১ মিটার। পোস্টার বা ব্যানারে প্রার্থী তার প্রতীক ও নিজের ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।

উপবিধি ৪ এ বলা হয়েছে, উপবিধি ৩ এ যা কিছুই থাকুক না কেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে সেক্ষেত্রে তিনি কেবল তার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপতে পারবেন।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই নিয়ম অনুযায়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দলীয় প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবি পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবেন।

আর কমিশনের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী খালেদা জিয়া এখনও বিএনপির প্রধান। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রধান হিসেবে অন্য কারো ছবি ব্যবহারের সুযোগ নেই বিএনপির প্রার্থীদের।

তবে জোটভুক্ত হয়ে ভোট করলে জোট প্রধানের ছবি ব্যবহারের সুযোগ নেই বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, বাছাই ২ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর।

সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বরের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারের কোনো সুযোগ নেই। ১০ ডিসেম্বর থেকে পোস্টার, ব্যানারের মত প্রচার সামগ্রীসহ প্রচারের সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। এর আগে কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহারের সুযোগ নেই।

পোস্টারের ছবি হতে হবে ‘পোট্রেইট’, কোনো অনুষ্ঠান, মিছিলে নেতৃত্বদান, প্রার্থনারত অবস্থার ছবি কোনো অবস্থায় ছাপানো যাবে না। ছবির আয়তন হবে সর্বোচ্চ ৬০ সেন্টিমিটার বাই ৪৫ সেন্টিমিটার।

কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতায় তিন মিটারের বেশি হতে পারবে না।

কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও মুদ্রণের তারিখবিহীন কোনো পোস্টার লাগাতে পারবেন না।