হবিগঞ্জের বাহুবলে আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
Published : 07 Sep 2016, 03:16 PM
হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যা: অভিযোগপত্র গ্রহণ
হবিগঞ্জে ৪ শিশু হত্যা: অভিযোগপত্র গ্রহণ করেনি আদালত
বুধবার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ সাত মাসের মাথায় এ হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, আরজু মিয়া, শাহেদ, উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল।
এদর মধ্যে প্রথম পাঁচজন কারাগারে রয়েছেন। উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক।
হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আবুল হাসেম মোল্লা জানান, বুধবার নির্ধারিত তারিখে কারাগারে আটক পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় আরজুর পক্ষে জামিন প্রার্থনা করা হলে আদালত তা নাকচ করে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে এবং তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।
পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়।
লাশ উদ্ধারের দিন রাতেই পুলিশ আব্দুল আলীসহ দুই ছেলেকে আটক করে। পরদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ডে) নেয় পুলিশ।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ২২ ফেব্রুয়ারি রুবেল ও জুয়েল বিচারিক হাকিম খন্দকার কৌশিক আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এরপর আরজু মিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউছার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
মামলার অন্যতম আসামি সালেহ আহমেদকে ২৪ ফেব্রয়ারি রাতে সিলেটের বালাগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে আরেক আসামি সিএনজি চালক বাচ্চু মিয়া চুনারুঘাটে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
২৯ ফেব্রুয়ারি আসামি শাহেদকে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় শাহেদ ২ মার্চ হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এরপর পুলিশের গাফিলতির বিষয়ে তদন্ত করে ৬ মার্চ প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ পেয়ে বাহুবল থানার এসআই জিয়াউদ্দিনকে বরখাস্ত ও পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।