নারায়ণগঞ্জে শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণ হত্যা মামলায় জোবেদা টেক্সটাইলের কর্মকর্তাসহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
Published : 26 Jul 2016, 03:28 PM
মঙ্গলবার সকালে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন জোবেদা টেক্সটাইল মিলের জ্যেষ্ঠ উৎপাদন কর্মকর্তা সৈয়দ আজাহার ইমাম সোহেল (৩৮) ও ওই কারখানার লাইনম্যান সোহাগ হোসেন ওরফে হৃদয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা জানান, মঙ্গলবার সকালে জোবেদা টেক্সটাইল মিলে অভিযান চালিয়ে সৈয়দ আজাহার ইমাম সোহেলকে (৩৮) র্যাব গ্রেপ্তার করেছে।
সোহেল এ মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া মুন্সীপাড়ার সৈয়দ আহসান ইমামের ছেলে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
একই সময় রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হৃদয়কে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার দীঘি বরাব এলাকা থেকে ওই কারখানার লাইনম্যান সোহাগ হোসেন ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে রোববার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া কারখানা ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় জোবেদা টেক্সটাইলে রোববার দুপুরে মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে সাগর বর্মণকে (১০) হত্যা করা হয়। সাগর ও তার বাবা রতন বর্মণ ওই কারখানার কর্মচারী।
এ ঘটনায় রতন বর্মণ বাদী হয়ে রোববার রাতেই রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কারখানার চার কর্মকর্তার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন-চার জনকে আসামি করা হয়েছে।